যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি হাফিজ শম্ভু বলেছেন, ‘সড়কে যখন লাশ পড়ে, তখন সবার টনক নড়ে। আমাদের এখন সময় হয়েছে সড়কে মৃত্যুর মহামারি কঠিন হস্তে দমন করার। এজন্য সবাইকে সচেতনতার সাথে প্রতিটি মুহুর্তে এই মহামারির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
শুক্রবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো ও যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে প্রতিকী অবস্থান কর্মসূচী পালন কালে তিনি এসব কথা বলেন।
হাফিজ শম্ভু বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে বাসচালকদের প্রতিযোগীতামূলক মানসিকতা। এই মানসিকতা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। পৃথিবীর উন্নত কোনো রাষ্ট্রে যত্রতত্র যাত্রী উঠানো নামানোর ব্যবস্থা নেই। নির্দিষ্ট স্থানে উঠা-নামা না করে নিজের সুবিধামত উঠা-নামার মানসিকতা পরিহার করে বাস কাউন্টারের মাধ্যমে বাসে যাতায়াত করলে ৫০% দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল চালকদের প্রতি অনুরোধ তারা যেন প্রতিযোগীতামূলক মানসিকতা পরিহার করে সড়ক ও মহাসড়কে সুশৃঙ্খলভাবে গাড়ি চালান। লাইসেন্সবিহীন চালক ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ যতক্ষন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি ও কার্যকর না করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব নয়। কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে তৎপর না হলে সাধারণ জনগণ কঠিন আন্দোলনের দিকে ধাবিত হবে।’
যাত্রী আন্দোলনের এ নেতা বলেন, ‘ইতিহাস বলে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে সামনে যেতে হয়। কোনো মানবসভ্যতার জন্য বড় হুমকি, শোষণ কিংবা দুর্নীতি টেকেনি। মানুষ তার আন্দোলন, সংগ্রাম ও কঠিন চেষ্টার মাধ্যমে তা উত্তরণ ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। একসময় রাজপ্রথা, ব্রাহ্মণ প্রথা ও কলেরার মত মহামারি জয় করে মানবসভ্যতা টিকে আছে।’
প্রতীকি অবস্থান কর্মসূচিতে সংগঠনের নেতাকর্মীসহ ছাত্র জনতা স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহন করে।
প্রতীকি অবস্থান কর্মসূচীতে আরও উপস্থিত ছিলেন যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সহ-সভাপতি মশিউর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন পলাশ, প্রচার সম্পাদক মিনারুল ইসলাম, কার্যকরি সভাপতি মো. রিয়াদ হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. সাদেক হোসেন ও সদস্য শামসুদ্দিন, আরিফ প্রমুখ।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন