১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতম ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আব্দুল কাদির। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে চট্টগ্রামে ওয়েল এন্ড গ্যাস ডেভেলপমেন্ট স্টোর থেকে বিস্ফোরক ও জনবল দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেন তিনি।
পাকিস্তানি সেনারা জানতে পেরে ১৭ এপ্রিল তাকে চট্টগ্রামের নিজ বাসা থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করে।
বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলনে অবদান রাখতে ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি থেকে তৎকালীন ওয়েল এন্ড গ্যাস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান হিসেবে চট্টগ্রামে বদলি হয়ে আসেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আব্দুল কাদির। স্বাধীনতাকামী বাঙালি অফিসারদের সাথে তার প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল।
একাত্তরের মার্চের প্রথম দিকেই কাদির নিজ বাসায় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিলেন বলে জানান তার বড় ছেলে নাদীম কাদির।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ওয়েল এন্ড গ্যাস ডেভেলপমেন্ট স্টোর থেকে বিস্ফোরক ও দক্ষ জনবল দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতে শুরু করেন আব্দুল কাদির।
১৭ এপ্রিল বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন কর্নেল কাদির। ২০০৭ সালে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে তার কবর খুঁজে পায় পরিবার।
২০১১ সালে তার মরদেহ তার নামে করা নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পুনঃসমাহিত করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা বাঙালি হত্যাযজ্ঞ শুরু করে এবং ২৬ মার্চ শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ । ঐ বছর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের মধ্য দিয়ে এর পরিসমাপ্তি ঘটে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন