ড. মুনতাসির মামুন বলেন, কোথাও ২-৩ জন মুসলিম মিলে কোন কিছু ঘটালে চারিদিকে হইচই পড়ে যায়। তারা বলে যে, মুসলমান জঙ্গিরা এই ঘটনা ঘটালো। ইসলামকে তারা জঙ্গিবাদের সঙ্গে তুলনা করে। তারা মনে করে ইসলাম মানেই জঙ্গিবাদ। আসলে ইসলাম সম্পর্কে তাদের অজ্ঞতা ও রাজনৈতিক সুবিধার জন্য তারা এ কথাগুলো ব্যবহার করে। তিনি বলেন, উগ্র ডানপন্থা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে
পড়েছে। এবং রাজনীতিবিদেরা এগুলো ছড়াচ্ছে।
৩. তিনি বলেন, আমরা যেকোন ধরনের উগ্রপন্থার বিরোধী। সকল উগ্রপন্থা, সেটি ডানপন্থা হোক আর জঙ্গিবাদ হোক আমাদের থামাতে হবে।
৪. নিউজিল্যান্ড হচ্ছে পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম শান্তিপ্রিয় দেশ। তাদের দেশে মানুষের চেয়ে ভেড়া বেশি। এতো শান্তি প্রিয় একটি দেশ, সেখানে এরকম একটি ঘটনা ঘটবে এটা কল্পনাতীত। অনেকেই এটা নিয়ে অনেক কথা বলছে। অনেকেই বলেছে যে, নিরাপত্তা বাহিনি দেরিতে এসেছে। তারা হয়তো ভাবতেই পারেনি যে, এমন একটি ঘটনা ঘটতে পারে। তবে, নিউজিল্যান্ডের ঘটনা থেকে একটি বিষয়ে শিক্ষা নেয়া যায় যে, শান্তিপ্রিয় দেশ হোক আর অশান্তিতে পূর্ণ দেশ হোক, সব জায়গায় উগ্র ডানপন্থিরা, উগ্রবাদি জঙ্গিরা মাথাচারা দিয়ে উঠছে। তিনি বলেন, শান্ত একটি দেশ, সব পরিবেশ শান্ত, কিন্তু সেখানে এমন কোন লোক নিশ্চয়ই রয়ে গেছে যারা, তাদের এই কাজে উৎসাহিত করে। তাদের উস্কানি দেয় এধরনের কাজে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য।
৫. তিনি বলেন, পাশ্চাত্য এধরনের লোকদের এক দেখে, আবার ধর্মীয় হামলাকারিদের একভাবে দেখে। এবং শ্বেতাঙ্গদের আরেকভাবে দেখে। তবে ভাবে মনে হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়াতে এধরনের উগ্রপন্থা বাড়ছে।
৬. মুনতাসির মামুন বলেন, কিছুদিন আগে এক শ্বেতাঙ্গ ৬০-৭০ জনকে হত্যা করলো। তাকে জঙ্গী, উগ্রপন্থী বা অন্য কোন নামে অভিহিত করা হলো না। যারা স্কুলে হামলা করছে এদেরকে আমরা কি বলবো। সন্ত্রাসি বলবো, না উগ্রপন্থি বলবো।
হামরকারীদের বিচার কি হলো, আদৌ হলো কি না, তা কিন্তু জানা গেল না। আমেরিকাতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিমাসে ঘটছে। তার পরও ট্রাম্প অস্ত্র আইন কঠোর করেননি। কিছু হলেই তারা মুসলিম আর অভিবাসিদের দোষারোপ করে। যদিও ট্রাম্প নিজেও একজন অভিবাসি।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন