পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’র (পিবিআই) ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, গত সোমবার বিকালে পিবিআইর ইন্সপেক্টর কামাল হোসেন কদমতলীর পূর্ব জুরাইন মেডিকেল রোডে কামালকে ধরতে যান। এ সময় তাকেও বোকা বানানোর চেষ্টা করেন তিনি। বলেন, আরে ভাই না জেনেশুনে আমাকে অ্যারেস্ট করতে এসেছেন। আমি এ এলাকার ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। এলাকায় আমার একটা অবস্থান আছে। পরে তাকে আটক করলে পিবিআইর কাছে স্বীকার করেন ভাগ্নে কবির হত্যার কথা।
৩) ২০০৯ সালের ১৭ জুন রাত সোয়া ৮টায় তার সহযোগীদের মাধ্যমে কবির হোসেন ওরফে ভাগ্নে কবিরকে টিকটিকি কামাল গুলি করে হত্যা করে।
৪) এর আগে কামালকে চারবার আটক করে থানা ও ডিবি পুলিশ। কিন্তু কৌশলে পুলিশকে বোকা বানিয়ে ছাড়া পেয়ে যেতেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ভাগ্নে কবির হত্যা মামলায় তিনি এখন পিবিআইর জালে।
৫) তিনি পিবিআইর কাছে স্বীকার করেছেন ভাগ্নে কবির হত্যার কারণ, পুলিশকে বোকা বানানো ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।
৬) কদমতলী থানার পূর্ব জুরাইন মেডিকেল রোডে শাহজাহান মিয়ার ছেলে কামাল হোসেন ওরফে টিকটিকি কামাল। এলাকায় তার একটা বড় গ্রুপ রয়েছে। সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কদমতলীসহ আশপাশের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন বাসা ও ট্রাক টার্মিনালে টিকটিকি কামাল দলবল নিয়ে চাঁদাবাজি করতেন।
৭) ২০০৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর র্যাবের হাতে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার হন কামাল। তার বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় একটি অস্ত্র মামলা হয়। আদালত ওই মামলায় তাকে ১০ বছরের সাজা দেন। সাড়ে ৪ বছর সাজা খাটার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন