হাতে কখনো ডলার, কখনো রিয়াল (সৌদি মুদ্রা)। টার্গেট ব্যক্তির কাছে গিয়ে না জানার ভান করেন বলেন, এগুলো কোন দেশের টাকা? এরপর জানতে চান, কীভাবে বিদেশি মুদ্রাগুলো বাংলাদেশি টাকায় ভাঙানো যাবে। এভাবে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য।
এরপর কম টাকাতে হলেও বিদেশি মুদ্রাগুলো ভাঙাতে চান তারা। আর লাভের আশায় প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে কম দামে মুদ্রাগুলো কিনে নিজেই বোকা বনে যান ভুক্তভোগীরা। কারণ, বান্ডেলে দু-একটি ডলার/রিয়াল নোট মিললেও ভেতরে সবই থাকে কাগজ।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাতে রাজধানীর ভাটারা থানার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই প্রতারক চক্রের ৭ সদস্যকে আটকের পর, এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১। আটককরা হলেন, আবু শেখ (৩৮), শাহিন মাতব্বর (৩৭), মহসিন মিয়া (৪৫), আবুল বাশার (৪০), কামরুল শেখ (৩৫), ইশারত মোল্লা (২৭) ও আব্দুর রহমান মোল্লা (৪০)।
আটককালে তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০ রিয়েল, ৩ হাজার ৮২২ টাকা ও ১০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। চক্রটি বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করতো। প্রতারকদের সবাই পেশায় রং মিস্ত্রী।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, প্রতারক চক্রটি কখনো বাসায় ঢুকে বয়স্ক ব্যক্তিদের টার্গেট করতো। কখনো আবার রাস্তায় দামি গাড়ির যাত্রীদেরও টার্গেট করতো। তারা রিয়েল দেখিয়ে কম মূল্যে বিক্রির কথা বলে প্রলোভন দেখাতো। ব্যক্তি রাজি হলেই, টাকার বিনিময়ে উপরে কয়েকটি রিয়েল নোট আর ভেতরে কাগজ দিয়ে বানানো বান্ডেল হস্তান্তর করে কেটে পড়তো।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন