দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে প্রতারকরা কৌশলে ভয় দেখিয়ে সরকারি-বেসকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এ ধরনের বেশ কিছু ঘটনার প্রমাণ পাওয়ার পর সর্ব সাধারণকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দুদক।
একই সঙ্গে দুদক পরিচয়ে প্রতারণা থেকে প্রতিকার পেতে তাৎক্ষণিকভাবে দুদকের পরিচালক (গোয়েন্দা) মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী (মোবাইল ০১৭১১-৬৪৪৬৭৫) অথবা উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য (মোবাইল নং-০১৭১৬-৪৬৩২৭৬) এর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।
প্রতারক চক্র থেকে সাবধান হওয়ার পাশাপাশি প্রতিকারের বিষয়টি জানিয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘অনেক প্রতারক রয়েছেন যারা কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারি এমনকি কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থায় বিভিন্ন অনৈতিক তদ্বির করছেন। প্রতারকচক্র কোনো কোনো ক্ষেত্রে কমিশনের কর্মকর্তাদের আত্মীয়, বন্ধু কিংবা অন্য কোনো স্বজন পরিচয় দিয়ে অনৈতিক তদ্বির করছেন। কমিশন এ জাতীয় কর্মকাণ্ড বন্ধে বহুমাত্রিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
দুদক জানায়, কমিশনের গোয়েন্দা তৎপরতায় ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর, রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ’র রাজ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে থেকে প্রতারক ফয়সল রানা ওরফে মো. ফয়েজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
গত ২৪ জানুয়ারি রাজধানীর ৩০ নয়াপল্টন, ভিআইপি রোডে ‘গোল্ডেন প্লেট রেস্টুরেন্ট’ এলাকা থেকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী ভুয়া দুদক কর্মকর্তা হাসান মুন্না ওরফে রফিককে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
এছাড়া গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-২ এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেল (এনটিএমসি) এর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে আরেক ভুয়া দুদক কর্মকর্তা নাজমা, যার প্রকৃত নাম রাজু মিয়াকে গ্রেপ্তার ও মামলা করা হয়।
একইভাবে ২ ফেব্রুয়ারি, ভুয়া দুদক কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ওরফে হাজী জহিরুল হুদা ওরফে প্রশান্ত ওরফে সুশান্ত ওরফে মনিরুজ্জামান মিয়া ওরফে শহিদুল ইসলাম, যার প্রকৃত নাম আনিসুর রহমান বাবুল, তাকে ঢাকার হাজারীবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুদক আরো জানায়, প্রতারকদের আইন-আমলে আনা একটি জটিল প্রক্রিয়া যা কমিশন নিরলসভাবে পরিচালনা করছে। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
এ প্রেক্ষাপটে যদি কোনো ব্যক্তি কমিশনের কর্মকর্তা কিংবা কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে টেলিফোন করে বা ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে কমিশনের কর্মকর্তা বা তাদের স্বজন পরিচয় দিয়ে অনৈতিক কোনো বিষয়ে তদ্বির করে তাহলে ওপরের মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন