বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে তৃতীয় বৃহত্তম বিপর্যয় হিসেবে অভিহিত করেছে। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এ মন্তব্য করেন।
রিয়াজুল হক বলেন, সাভারের রানা প্লাজার ধসের ঘটনা ছিল সবচেয়ে বড় বিপর্যয় আমাদের দেশের জন্য। এরপর নিমতিলর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১২৪ জনের মৃত্যু ছিল দ্বিতীয় ভয়াবহ বিপর্যয়।
'আর চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডর ঘটনায় প্রায় ৭০ জনের মৃত্যু হলো। ফয়ার সার্ভিসসহ উদ্ধারকর্মীরা এখনো এখানে কাজ করে চলেছেন।'
তিনি সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের সবাইকে নিশ্চিত করতে হবে যে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাধারণ মানুষকেও এসব বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে যথাযথ সহায়তার আহ্বানও জানান মানবাধিকার কমিশনের প্রধান।
বুধবার রাত ১০টার দিকে এ আগুন লাগে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করে বিমানবাহিনীর চারটি হেলিকপ্টার। দুপুর নাগাদ আগুন পুরো নিয়ন্ত্রণে আসে। এর মধ্যে ৭০জনের প্রাণহানি ঘটে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ভবনের সামনে দিয়ে যাওয়া একটি প্রাইভেটকারের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ওই ভবনের নিচ তলায় থাকা কেমিক্যাল গুদামে আগুন লাগে।
এ ঘটনা আহত হয়েছেন আরও অর্ধশত। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুরিহাট্টা মসজিদ গলির রাজ্জাক ভবন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা যায়। আগুন লাগার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও সরু গলি হওয়ায় ভবনের কাছে যেতে সক্ষম হয়নি। ফলে রাত সাড়ে ১২টার পর পাশের আরও প্রায় চারটি ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, চকবাজার থানার সামনে গাড়ি রেখে সেখান থেকেই পাইপের মাধ্যমে পানি নেওয়া হয়। এ ছাড়া আশপাশের ভবনের পানির ট্যাংক থেকেও পানি সংগ্রহ করে ফায়ার সার্ভিস। রাত ৩টায় আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন