কাশ্মীরকে মুসলিমশূন্য করতেই ভারত মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
কাশ্মীরে মুসলিম নির্যাতন বন্ধে বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলারও আহ্বান জানান তিনি।
ভারতের কাশ্মীরে মুসলিম নির্যাতন ও ধর্ষণের সংবাদে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন চরমোনাই পীর।
বুধবার এক বিবৃতিতে চরমোনাই পীর বলেন, ভারত মুসলমানদের সহ্য করতে পারছে না, তাই তারা মুসলিমশূন্য করতেই এ ধরনের নির্যাতনে পথ বেছে নিয়েছে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে বিনা উসকানিতে মুসলিম নিধন, নির্যাতন, ধর্ষণ করছে কট্টরপন্থী হিন্দু সম্প্রদায়ের সন্ত্রাসী ও জঙ্গিরা।।
ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের ধ্বজাধারী ভারত বিনা অপরাধে সে দেশের মুসলমানদের ওপর ঢালাওভাবে নির্যাতন করছে। কেবলমাত্র মুসলমান হওয়ার কারণেই ভারত মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালাচ্ছে। আজান ও নামাজ আদায়ে বাধা দেয়া হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুসলমানদের খুঁজে বের করে নির্যাতন করছে, ধর্ষণ করছে।
বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থাগুলো মুসলিম নির্যাতনের এ দৃশ্য দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে যাচ্ছে। বিগত কয়েক দিন ধরে ভারতের কাশ্মীরসহ বিভিন্ন প্রদেশে মুসলমানদের ওপর অব্যাহতভাবে নির্যাতন, ধর্ষণ মুসলিমবিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়েছে।
নির্যাতনের লোমহর্ষক এ ঘটনা কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। পীর সাহেব চরমোনাই ভারতের কাশ্মীরে ভয়াবহ মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুসলিমবিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ জিহাদের ডাক দেয়ার আহ্বান জানান।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম প্রধান দেশ, সে হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের কাশ্মীরসহ বিভিন্ন প্রদেশে মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, কাশ্মীরে মুসলিম নির্যাতন বন্ধ না করলে বাংলাদেশের মুসলমানরা নীরবে বসে থাকবে না। প্রয়োজনে বাংলাদেশের মুসলমানরা কাশ্মীর অভিমুখে লংমার্চ করে মুসলমানদের রক্ষা করবে। কাশ্মীরের স্বাধীনতা দেয়ার জন্য বিশ্ব মুসলিমকে ভারতের প্রতি চাপ প্রয়োগেরও আহ্বান জানান চরমোনাই পীর।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন