দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সপ্তম স্প্যানটি ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারের ওপর আজ বসানো হবে।বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় স্প্যান বসানোর কথা থাকলেও ঘন কুয়াশার কারণে এখনও তা সম্ভব হয়নি।
তবে কুয়াশা কেটে গেলে দুপুর ১২টার দিকে সপ্তম স্প্যানটি বসানো হবে বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর উপসহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর।
সপ্তম স্প্যান বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে সেতুর সোয়া এক কিলোমিটার।
এর আগে শক্তিশালী ভাসমান ক্রেন তিয়ানি হাউ মাওয়ার মুন্সীগঞ্জের কুমারভোগের বিষেশায়িত জেডি থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় স্প্যানটি নিয়ে জাজিরা পয়েন্টে পৌঁছায়। এ স্পেনটি বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর কাজ আর একধাপ এগিয়ে যাবে। সেতু কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, ইতিমধ্যে সেতুর প্রায় ৭২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এটি বসানো হলে ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হবে।
২০১৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সেতুর প্রথম স্প্যান, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যান, ১০ মার্চ তৃতীয় স্প্যান, ১৩ এপ্রিল চতুর্থ স্প্যান, ২৯ জুন পঞ্চম স্প্যান বসানো হয়। এবং গত ২৩ জানুয়ারি ষষ্ঠ স্প্যানটি বসানো হয়।
সপ্তম স্প্যান বসানোর সংবাদে পদ্মাপাড়ের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ করা গেছে। এ ছাড়া মাওয়া পয়েন্টের দিকে গত বছরে আরও একটি স্প্যান ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে।
ওই স্প্যানটি তৈরি করা হয়েছে ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের ওপর বসানোর জন্য। নকশা জটিলতা ও পিলার তৈরি না হওয়ায় এবং ওয়ার্কশপে জায়গা না থাকায় অস্থায়ীভাবে ৪ ও ৫ নম্বর পিলারে তুলে রাখা হয় স্প্যানটি। নকশা জটিলতা কেটে যাওয়ায় ৬ ও ৭ নম্বর পিলার তৈরি হলে স্প্যানটি সেখানে সরিয়ে নেয়া হবে বলে জানিয়েছে সেতু বিভাগ।
সেতু বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, বুধবার সকালে পদ্মা সেতুর সপ্তম স্প্যানটি বসানোর কথা ছিল। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে দেরি হচ্ছে। দুপুর নাগাদ বসানো হবে।
আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে আরও স্প্যান বসানো হবে বলে আশা করে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সেতুর প্রায় ৭২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এটি বসানো হলে প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হবে। চলতি বছরের মধ্যে সবকটি স্প্যান বসিয়ে সেতুটি দৃশ্যমান করে তুলব।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন