রোববার নতুন অনুমোদন পাওয়া তিন ব্যাংকের বিষয়ে পুরোপুরি অবহিত নন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। ফলে নতুন অনুমোদন পাওয়া এই তিন ব্যাংকের বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চান না তিনি।
সোমবার সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির সভায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি এই মুহূর্তে কোনো কথা বলবো না। তিনটি ব্যাংক সম্পর্কে আগে আমাকে জানতে হবে। তিনটি ব্যাংক সম্পর্কে আরও জানা দরকার। আমি এখনও ভাল জানিনা। সংশ্লিষ্ট অফিসারদের সঙ্গে আলাপ করে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিব। তখন আমার জন্য বলা ভাল হবে।
তিনি বলেন, তবে সেন্ট্রাল ব্যাংক যেহেতু অনুমোদন দিয়েছেন তাদের প্রয়োজন না থাকলে এ কাজ করতো না। সেন্ট্রাল ব্যাংক হয়তো প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন তাই হয়তো অনুমোদন দিয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি এখন অবগত নই। আলাপ করে জানাতে পারবো।
আগের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছিলেন বাংলাদেশে যে পরিমাণ ব্যাংক রয়েছে তাতে নতুন ব্যাংকের আর প্রয়োজন নেই - এ বিষয়ে আপনি কী বলতে চান? এমন প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মোস্তফা কামাল। বলেন, বাংলাদেশে কতটা ব্যাংক আছে সেটা বড় কথা নয়। ব্যাংকগুলো যদি স্বাভাবিকভাবে চলে, নিয়ম-নীতি মেনে চলে, নিয়মের মধ্যে থাকতে পারে তাহলে ব্যাংকের সংখ্যা নিয়ে আমি চিন্তিত নই।
তিনি বলেন, কারণ আমাদের যে ব্যাংকগুলো আছে তাদের ৪শ থেকে ৫শ কোটি টাকা পেইড অব ক্যাপিটাল। এটা কিছুই নয়। বিদেশি কোনো ব্যাংকের একটি ব্রাঞ্চের যে পেইড অব ক্যাপিটাল আছে তা আমাদের বিশটি ব্যাংকেরও নেই। ফলে ব্যাংকের সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা করলে চলবে না। আমাদের বিবেচনা করতে হবে ব্যাংকের চাহিদা আছে কিনা সেটা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তারা কমপ্লিট একটি স্টাডির ভিত্তিতেই নতুন ব্যাংকগুলোর অনুমোদন দিয়েছেন। তবে এখন থেকে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন শর্ত দেওয়া হবে। ক্লাসিফায়েড লোন দীর্ঘদিন ধরেই হয়ে আসছে। এসব ক্লাসিফাইড লোন থেকে কিভাবে অব্যাহতি পেতে পারি সে বিষয়ে আমরা কথা বলছি। আমরা মনে হয় আমরা একটি সমাধানে আসতে পারবো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন ক্লাসিফায়েড লোন যতই বেড়ে যায় তই ব্যাংকের খরচ বেড়ে যায়, ব্যাংক ইন্টারেস্ট বেড়ে যায়। এটা আমাদের কমাতে হবে। এটা কমাতে আমরা স্পেশাল অডিটের ব্যবস্থা করবো।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন