পরিবহন শ্রমিক নেতা তাজুল ইসলাম সবুজের সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএর ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ। বিআরটিএর চেয়ারম্যানের দপ্তরের সংশ্লিষ্ট শাখার কজন কর্মকর্তার আঁতাতে সবুজের সংগঠনের প্যাডে পাঠানো রেফারেন্স নম্বর দেখে দেওয়া হয় ড্রাইভিং লাইসেন্স।
বিআরটিএ এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটি বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছয় মাস ধরে দেশে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার আবেদনকারী ড্রাইভিং লাইসেন্স পাচ্ছেন না। এর পেছনের কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, ফ্রান্স থেকে স্মার্ট কার্ড আমদানি বিলম্ব হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে কালের কণ্ঠ’র অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিআরটিএ কার্যালয়ের দালাল এবং কর্মকর্তাদের সহকারীর মাধ্যমে ঘুষ নেওয়ার পরই সবুজের পাঠানো রেফারেন্স নাম্বার দেখে লাইসেন্স দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ায় সবুজের সিন্ডিকেট প্রথমে আবেদনকারীদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় করে। এরপর সবুজের সংগঠনের প্যাডে বিআরটিএর চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয় রেফারেন্স নাম্বার। তার পরই দিনে দিনে মেলে ড্রাইভিং লাইসেন্স। আবেদন করার পর ঘুষ না দিলে লাইসেন্স মেলে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সবুজ বিআরটিএর কর্মকর্তা বা কর্মচারী নন। তিনি ঢাকা জেলা ট্যাক্সি, অটোরিকশা, ট্যাক্সি ক্যাব, মিশুক, অটো টেম্পো সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের (নিবন্ধন নম্বর : ৪৫৯১) সভাপতি। তাঁর সংগঠনের কার্যালয় সাভারের ইমান্দিপুরের ব্লক-ই-এর ১৬/৬ নম্বরে। ২০০৭ সাল থেকে তিনি বিআরটিএর মিরপুর, ইকুরিয়াসহ বিভিন্ন কার্যালয়ে লাইসেন্সের দালালি করে আসছেন।
আবেদনকারীরা ড্রাইভিং লাইসেন্সের যে আবেদন করেন তার রেফারেন্স নাম্বার নিয়ে সবুজও বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের কাছে হাজির হন। জরুরি ভিত্তিতে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে সবুজের দেওয়া রেফারেন্স নাম্বার বিআরটিএর চেয়ারম্যান পাঠিয়ে দেন প্রধান কার্যালয়ের পরিচালকের (প্রকৌশল) কাছে। সেখান থেকে সুপারিশ পাঠানো হয় টাইগার আইটি বাংলাদেশ লিমিটেডের দপ্তরে। ওই সুপারিশের পরই প্রতিষ্ঠানটি ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট করে।
জানা গেছে, টাইগার আইটি বাংলাদেশ লিমিটেড ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহের জন্য বিআরটিএর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২১ সালে। চুক্তি অনুসারে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন গড়ে চার হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করার কথা। কিন্তু বর্তমানে শ্রমিক নেতা সবুজের হস্তক্ষেপে বিআরটিএ যে পরিমাণ সুপারিশ পাঠায় শুধু সে পরিমাণ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট করা হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ নিয়মে করা আবেদনের অনুকূলে লাইসেন্স প্রিন্টের কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে ভুক্তভোগী ও বিআরটিএর সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তা জানান।
টাইগার আইটির কর্মকর্তা জানান, বিআরটিএর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সুপারিশ বা অনুমোদন ছাড়া তাঁরা লাইসেন্স প্রিন্ট করেন না। চুক্তি অনুসারে এটাই নিয়ম।
কালের কণ্ঠ’র কাছে শ্রমিক নেতা সবুজের সংগঠনের প্যাডে বিআরটিএর চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো অসংখ্য রেফারেন্সের তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। এর মধ্যে গত ৩ জানুয়ারি সবুজের স্বাক্ষরিত একটি প্যাডে ৫৩টি আবেদনের রেফারেন্স নম্বর উল্লেখ করে জরুরি ভিত্তিতে লাইসেন্স চাওয়া হয়। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ওই দিনই অনুমোদন দেন পরিচালক (প্রকৌশল) মো. নুরুল ইসলাম। রেফারেন্স নম্বর হলো আবেদনকারীর কাছে থাকা একটি স্লিপের নম্বর। ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে বিআরটিএ কার্যালয়ে আবেদনের পর আবেদনকারীর ছবি তোলা হয় এবং হাতের আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়। পরে আবেদনকারীকে ওই স্লিপ দেওয়া হয়। তাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহের তারিখও থাকে। কিন্তু স্থানীয় কার্যালয়ে মাসের পর মাস ঘুরে লাইসেন্স না পেয়ে আবেদনকারীরা শেষ পর্যন্ত স্থানীয় দালাল এবং বিআরটিএর কিছু অসাধু কর্মকর্তার পরামর্শে দ্রুত লাইসেন্স পেতে সবুজের সিন্ডিকেটের কাছে ছোটেন। হয়রানি থেকে রেহাই পেতে ঘুষ দিতে বাধ্য হন।
গত ৩ জানুয়ারি সবুজের স্বাক্ষরিত প্যাডে যে ৫৩টি রেফারেন্স নম্বর উল্লেখ করা হয় তার মধ্যে সিলেটের আবেদনকারী ২৪ জন। এর মধ্যে সাত নম্বর সিরিয়ালে ংষ১৮প৮৬০০ষ রেফারেন্স নম্বরটি নিয়ে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, আবেদনকারীর নাম মো. ইছহাক। গত বছর ২৮ নভেম্বর তিনি বিআরটিএ সিলেট কার্যালয়ে গিয়ে ছবি তোলেন। এরপর ঘুষ দিয়ে সবুজের মাধ্যমে রেফারেন্স নম্বর পাঠিয়ে এক দিনেই পেয়ে যান লাইসেন্স।
একই তালিকায় ১৫ নম্বর সিরিয়ালে সিলেটের আরেকটি রেফারেন্স নম্বর ংষ১ ৮প৯৩৪৪। বিআরটিএর সংশ্লিষ্ট তথ্যভাণ্ডারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাণিজ্যিক গাড়ি চালাতে লাইসেন্সের আবেদন করেন আমির উদ্দিন। তাঁর বাবার নাম মোবারক আলী। সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার রাজানগরের বাসিন্দা তিনি। গত বছর ১২ ডিসেম্বর তিনি সিলেট বিআরটিএতে আবেদন করেন। গত ৩ জানুয়ারি ঘুষ দিয়ে সবুজের মাধ্যমে রেফারেন্স নম্বরে সুপারিশ করিয়ে এক দিনেই পেয়ে যান লাইসেন্স।
সিলেট বিআরটিএ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডালিম উদ্দিনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এ প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত নন বলে জানান। কত আবেদনকারী লাইসেন্স পাচ্ছেন না তা জানতে চাইলে তিনি চট করে বলেন, ‘জেলায় প্রায় ছয় হাজার আবেদনকারীর ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাপা হচ্ছে না।’
সূত্র জানায়, সিলেট বিআরটিএ কার্যালয়ের মোটরযান পরিদর্শকসহ কমপক্ষে ২০ জন দালালের সঙ্গে রয়েছে সবুজের যোগাযোগ। তাঁদের মাধ্যমেই সবুজের কাছে আসে রেফারেন্স নম্বর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিলেটের একজন আবেদনকারী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সাধারণ নিয়মে লাইসেন্স দেওয়ার পথ বন্ধ করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আট থেকে ১২ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে।’
ঘুষ দিয়েছেন এমন একজন লাইসেন্স প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নিয়ম অনুসারে আবেদন করে, পরীক্ষা দিয়ে তারিখ পাওয়ার পরও লাইসেন্স পাচ্ছিলাম না। জয়পুরহাট থেকে দালালের মাধ্যমে ১২ হাজার টাকা ঘুষ দিলে লাইসেন্সটি দ্রুত পেয়ে যাই।’ তিনি আরো জানান, জয়পুরহাটে সবুজের সিন্ডিকেট এ কাজ নিয়ন্ত্রণ করছে।
গত বছর ৩ ডিসেম্বর সবুজের পাঠানো একটি প্যাডে ৩২১টি, গত বছর ৪ নভেম্বর আরেকটি প্যাডে ১৯০টি এবং ২৬ নভেম্বর ১৭৪টি ড্রাইভিং লাইসেন্সের রেফারেন্স নম্বর উল্লেখ করা হয়। এভাবে প্রায় প্রতিদিন এক বা একাধিক প্যাডে পাঠানো সবুজের রেফারেন্স আনুসারে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে।
নিয়ম অনুসারে আবেদনের পর ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা জেলা বা বিভাগীয় কার্যালয়ের সঙ্গে বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ের সমন্বয়ে। বিষয়টি দেখভাল করেন বিআরটিএর স্থানীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বা ভারপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা। কিন্তু সবুজের পাঠানো রেফারেন্স নম্বর অনুসারে বিআরটিএর চেয়ারম্যানের সুপারিশ করার বিষয়টি বিধি বহির্ভূত।
এ বিষয়ে বিআরটিএ খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক জিয়াউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। আপনার মতো আরো অনেকে ফোন করে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। চেয়ারম্যান বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কিছু না বুঝে হয়তো সুপারিশ করছেন। কিন্তু সেখানে যে অন্য কিছু হচ্ছে, সেটা হয়তো তাঁরা বুঝতে পারছেন না।’ তিনি আরো জানান, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের অধীন ১০ জেলার ড্রাইভিং লাইসেন্সের তথ্য রয়েছে। বিদেশ থেকে কার্ড না আসায় কয়েক মাস আবেদন জমা পড়ে ছিল।
জানতে চাইলে বিআরটিএ নওগাঁ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এ টি এম ময়নুল হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ছয় মাস ধরে আমাদের এখানকার কোনো আবেদনকারী ড্রাইভিং লাইসেন্স পাচ্ছেন না। লাইসেন্সের আট হাজার আবেদন জমা হয়ে আছে। আবেদনকারীদের আমরা যে রেফারেন্স নম্বর দিচ্ছি তা নিয়ে কেন তাঁরা দালালদের কাছে যাচ্ছেন আমি সেটা বলতে পারব না।’
তাজুল ইসলাম সবুজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সাধারণ আবেদনকারীরা ড্রাইভিং লাইসেন্স পাচ্ছেন না মূলত টাইগার আইটির অব্যবস্থাপনার কারণে। আমি কোনো ধরনের ঘুষ বাণিজ্যে যুক্ত নই। আমার সংগঠনের গাড়িচালকদের লাইসেন্স পেতে শুধু রেফারেন্স পাঠাই।’
অভিযোগ পাওয়া গেছে, জয়পুরহাট, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার আবেদনকারীদের কাছ থেকে দালালরা ঘুষ নিয়ে সবুজের কাছে পাঠায়। ওই ঘুষের টাকা পাওয়ার পরই সবুজ জরুরি রেফারেন্স নম্বর পাঠিয়ে লাইসেন্স ছাড়িয়ে নেন। এই প্রক্রিয়ায় বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ের চারজন কর্মকর্তাও জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে। এই চারজনের একজন বিআরটিএতে মি. জোয়ার্দার নামে পরিচিত। গতকাল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বহুবার তাঁর মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
টাইগার আইটি বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা স্মার্ট কার্ড আমদানি করেন ফ্রান্সের সেলফ কম্পানির কাছ থেকে। গত মাসে ওই কম্পানির কাছ থেকে প্রায় দুই লাখ স্মার্ট কার্ড এসেছে। ফলে বর্তমানে কার্ড সংকট নেই। কিন্তু আগের জমে থাকা লাইসেন্স শ্রমিক নেতা সবুজের কারণে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
টাইগার আইটির প্রকল্প সমন্বয়ক মো. তানভীর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি বা হচ্ছে না। আমি এ ব্যাপারে এর বেশি বলতে চাই না।’
বিআরটিএ প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (প্রকৌশল) লোকমান হোসেন মোল্লা কালের কণ্ঠকে গত শনিবার বিকেলে বলেন, ‘আমি এ পদে যোগ দিয়েছি ১৫ দিন হলো। এটা সত্য যে সারা দেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা পড়ে আছে। প্রিন্ট করে লাইসেন্স সরবরাহ স্বাভাবিক করতে আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরই টাইগার আইটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছি। তাঁরা জানান, স্মার্ট কার্ড আমদানি দেরি হওয়ায় কয়েক মাস চাহিদামতো ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট করা যাচ্ছিল না।’
পরিবহন নেতা সবুজের কাছ থেকে রেফারেন্সের তদবির পান কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তার নাম শুনেছি। আমার রুমে সে আসে না। তাকে আমি দেখিনি। তবে এ ধরনের তদবির ও সুপারিশ আসে। তাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।’
বিআরটিএর চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে গত সপ্তাহে পর পর তিন দিন তাঁর দপ্তরে গেলেও জানানো হয় ‘স্যার ব্যস্ত’। বক্তব্য নিতে মোবাইল ফোনে অবিরাম চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ব্যবস্থা নেবেন সড়ক সচিব : সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামকে সবুজের লাইসেন্স বাণিজ্যের বিষয়টি অবহিত করলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনলাম, যাছাই করে ব্যবস্থা নেব। আমি বিআরটিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গেও কথা বলব। চেয়ারম্যান বিষয়টি না দেখলে আমি নিজে দেখব।’
প্রসঙ্গত বিআরটিএতে একসময় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন নজরুল ইসলাম। তাঁর দায়িত্ব পালনকালে সবুজ বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ে তদবির নিয়ে আসতে পারত না। বর্তমান বিআরটিএ চেয়ারম্যান আসার পর সবুজ আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন