পলাশবাড়ি উপজেলা বিআরডিবি অফিসের হিসাবরক্ষক বিবাহিত ফিরোজ কবির প্রতরণা করে গাইবান্ধর সুন্দরগঞ্জের হিসাব বিজ্ঞানে মাস্টার্স দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত এক ছাত্রীর সঙ্গে ফেসবুকে প্রেম করে আট লাখ টাকা মোহরানা ধার্যে বিয়ে রেজিস্ট্রির আট দিন পর বিচ্ছেদ হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নের উত্তর মরূয়াদহ গ্রামের মৃত তৈয়ব আলী মাস্টারের মেয়ে গাইবান্ধা সরকারি কলেজে হিসেব বিজ্ঞান বিষয়ে মাস্টার্স দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়ন করে।
এ সুবাদে জেলা সদরের ঘাগোয়া ইউনিয়নের তালতলা গ্রামের জাহিদুল হক সরকারের পুত্র ও পলাশবাড়ি উপজেলা বিআরডিবি অফিসের হিসাবরক্ষক ফিরোজ কবির ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেম নিবেদন করে আসছিল।
পূর্বের স্ত্রী ও সন্তানকে অস্বীকার করে নিজেকে অবিবাহিত ও সরকারি চাকরিজীবী পরিচয় দিয়ে ওই ছাত্রীর ভালোবাসা অর্জন করে। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রীকে তার শিক্ষাঙ্গণ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পলাশবাড়ী উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের কাজী জাহাঙ্গীর আলমের নিকট আট লাখ টাকা মহরানা ধার্য করে বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন। পরে ফিরোজ কবিরের পূর্বের স্ত্রী ও সন্তানের কথা জানতে পেয়ে কনে পক্ষ তাকে আটক করে অবশেষে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটায়।
ছাপড়হাটী ইউনিয়ন বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রার (কাজী) মাওলানা আইনুল হক জানান, তিন লাখ টাকায় বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে মিমাংসার মাধ্যমে এ বিয়ে বিচ্ছেদ হয়।
ফিরোজ কবির পলাশবাড়ি উপজেলা বিআরডিবি অফিসের হিসাবরক্ষক ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বিআরডিবি অফিসে হিসাবরক্ষক হিসেবে অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
পালাবদল
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন