একজন নারী বিয়ের পর থেকেই সন্তানের মুখ দেখার জন্য ব্যাকুল থাকেন। এছাড়া নতুন বিয়ের পর স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা নতুন মেহমানের মুখ দেখতে চান।তাই বন্ধ্যত্ব কোনো নারীর জন্য কাম্য নয়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, তবে কিছু বদ-অভ্যাসের কারণে বন্ধ্যত্বের সমস্যা হতে পারে। তাই বন্ধ্যত্ব এড়াতে কিছু বিষয় অবশ্যই মেনে চলতে হবে। বন্ধ্যত্ব এড়াতে নারীদের সচেতন হতে হবে। শুধু নারীরাই যে এ সমস্যার সম্মুখীন হন তা কিন্তু নয়, পুরুষেরও বন্ধ্যত্বের সমস্যা হতে পারে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও নানাভাবে জীবনযাত্রা বদলের কথাই বলে আসছেন। বিরাট কোনও শারীরিক অক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও বন্ধ্যত্বের সমস্যায় নাজেহাল হতে হচ্ছে কমবেশি অনেককেই। নারী-পুরুষনির্বিশেষে এই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন প্রায়ই।
আসুন জেনে নেই যেসব কারণে বন্ধ্যত্ব ঝুঁকি বাড়ে।
৩৫ বছরের পরে বন্ধ্যাত্ব ঝুঁকি বাড়ে
সম্প্রতি আমরা দেখতে পাচ্ছি নারী ও পুরুষ উভয়ই স্বাবলম্বী না হয়ে বিয়ে করতে চান না। তাই সমাজের নিজের অবস্থান শক্ত করতে বিয়ে করতে একটু দেরি করে ফেলেন অনেক নারী। উভয়ের বয়স ৩৫ পেরিয়ে গেলে বন্ধ্যত্ব ঝুঁকি বাড়ে। তাই বিয়ের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা করুন।
অতিরিক্ত ওজন
অতিরিক্ত ওজন বন্ধ্যত্বের অন্যতম কারণ।তাই রুটিন মেনে খাবার খাওয়া ও প্রতিদিন কম হলেও ৪০ মিনিট হাঁটুন।অতিরিক্ত ওজন স্পার্মের সংখ্যা কমিয়ে নানাবিধ যৌন সমস্যা দেখা দেয়।
টিউমার
টিউমারের কারণেও স্পার্ম কাউন্ট কমে যায়। তাই জরায়ু টিউমারসহ শরীরের অন্য যে কোনো জায়গায় যদি টিউমার দেখা দেয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ধূমপান
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও একটি বদঅভ্যাস বটে। তাই ধূমপান করে থাকলে তা বর্জন করুন।এছাড়া ধূমপানের ফলে নারী-পুরুষ উভয়ের যৌন হরমোন ক্ষরণের মাত্রা কমায় ও স্পার্ম কাউন্টও কমিয়ে দেয়।তাই ধূমপান বর্জন করুন।
অ্যালকোহল
টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমানোর অন্যতম কারণ হচ্ছে অ্যালকোহল। তাই অ্যালকোহল পান বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি বাড়ায়। মানসিক অস্বস্তি
মানসিব অস্বস্তির কারণে এই সমস্যা হতে পারে। মানসিক অস্বস্তির কারণে স্পার্ম কাউন্ট কমে যায়।তাই হতাশা বা মানসিক চাপ নেবেনে না।
গাইনি কনসালট্যান্ট,সেন্ট্রাল হাসপাতাল লিমিটেড।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন