আজ সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পূর্তি হয়েছে। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক দম্পতিকে নিজ বাসার শয়ন কক্ষে খুন করা হয়। ভোরে পশ্চিম রাজাবাজার এলাকা থেকে এই সাংবাদিক দম্পতির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার হয়। সে সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিয়েছিলেন।এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন একাধিকজন। তদন্ত কর্মকর্তা পাল্টেছে বহুবার। কিন্তু এই মামলার কোন সুরাহা হয়নি।
সাত বছরে আসামিকে গ্রেফতার করা না গেলেও তদন্তের নামে নানান নাটকীয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেসময় নিহত রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেছেন শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক এবং পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্ত দেওয়া হয় র্যাবকে। ওই দিন থেকে আজ পর্যন্ত ৬২ বার সময় নিয়েছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। আর কত অপেক্ষা করতে হবে জানা নেই।
আমাদের দেশে সাংবাদিক হত্যা কিংবা নির্যাতন নতুন কিছু নয়। মানবাধিকার সংস্থা 'অধিকারের তথ্য মতে' গত ২১ বছরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ২৮ জন সাংবাদিক হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শিকার হয়েছেন অন্তত ২৫ জন সাংবাদিক। সাংবাদিকতা হচ্ছে ঝুকিপূর্ণ পেশা। কিন্তু সাংবাদিকরা খুন হলে বিচার পাবেনা তাতো হয় না। দিন রাত পরিশ্রম করে মানুষের অধিকার নিয়ে যারা কাজ করে তাদের মানবাধিকার বলতে কিছু থাকবেনা?
সাগর রুনির সন্তান মেঘ বড় হচ্ছে। বাবা মায়ের হত্যাকারীদের বিচার না পেলে মেঘের মনে যদি দেশের প্রতি ঘৃণা জন্মায় সেই দায়ভার কার? দেশের স্বাধীনতা নিয়ে যদি সে প্রশ্ন করে তাহলে জবাব কী হবে? আমরা দেখেছি সাংবাদিক এই মেঘ ছেলেটা নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সময় দেশ মেরামতের প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল। হয়তো তার কাছে মতো নে হয়েছে বাবা মায়ের বিচার চাইতে হলে আগে দেশ মেরামতের প্রয়োজন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন