রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি সাংবাদিক ইউসুফ আলী বাপ্পী (৩৩) অকাল মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওইন্না ইলাইহি রাজেউন)।
গত শনিবার সকালে ভারতের চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার ভগ্নিপতি উজ্জল মিয়া। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের প্রায় পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় হাসপাতাল থেকে বাপ্পির লাশের ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। তাই পরিবারের লোকজন ওই অর্থ পরিশোধ নিয়ে বিপাকে আছেন। এ অবস্থায় তার লাশ কবে ভারত থেকে দেশে আনা হবে তা অনিশ্চিত। তার মা-বাবা দু’জনেই ছেলের লাশের অপেক্ষায় ভারতের চেন্নাইতে অবস্থান করছেন।
বাপ্পী দৈনিক যুগান্তর, প্রথম খবর পত্রিকার গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রতিনিধি ও গঙ্গাচড়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
তিনি ১৯৮৫ সালের ২১ নভেম্বর গঙ্গাচড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন ও মা হামিদা বেগমের চার সন্তানের মধ্যে ইউসুফ আলী বাপ্পী একমাত্র ছেলে সন্তান ছিলেন। তিনি রংপুর সরকারি কলেজ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি সাংবাদিকতার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।
তার মৃত্যুতে রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি সদরুল আলম দুলু, সাধারণ সম্পাদক রশীদ বাবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের প্রতিদিনের সম্পাদক, যুগান্তরের ব্যুরো প্রধান মাহবুব রহমান হাবু, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আব্দুল হালিম আনছারী, সাধারণ সম্পাদক শাহ বায়েজীদ আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ ফরহাদুজ্জামান ফারুক, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক, সেক্রেটারি সরকার মাজহারুল মান্নান, প্রচার -প্রকাশনা সম্পাদক হারুন উর রশিদ সোহেল, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন রংপুর সভাপতি জাহিদ হোসেন লুসিড, সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন, দফতর ও প্রচার সম্পাদক মেজবাহুল হিমেল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংবাদিক, শিক্ষক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করেছেন। নেতৃবৃন্দ এক শোকবার্তায় তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। বাপ্পীর মৃত্যুতে গঙ্গাচড়ায় সাংবাদিকরা সাত দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। তার লাশ কবে দেশে আনা হবেন তা এখনো নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি পরিবারের স্বজনরা।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন