নির্বাচন কমিশনে আপিল করার পর যারা প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন তারা রায়ের সার্টিফায়েড কপি দাবি করেছেন। কিন্তু সার্টিফায়েড কবি দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। কবে দেয়া হবে তা-ও নিশ্চিত করে বলতে পারেনি।
শুক্রবার নির্বাচনে কমিশনে সার্টিফায়েড কপি চেয়ে না পাওয়ায় বিক্ষোভ করেন প্রার্থী। এ সময় কমিশনে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
প্রার্থী রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির আইন শাখায় যোগাযোগ করে রায়ের সার্টিফায়েড কপি নেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের কোনো চেষ্টা কাজে আসেনি। শেষ পর্যন্ত কোনো প্রার্থীই সার্টিফায়েড কপি পায়নি।
প্রথমে প্রার্থী বাতিল ও পরে ফিরে পাওয়াদের মধ্যে একজন মাদারীপুর-১ আসনের একজন প্রার্থী জহিরুল ইসলাম মিন্টু। সার্টিফায়েড কপি না পেয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সকালে বলল নামাজের পর দেবে, নামাজের পর বলল বিকালে দেবে। এখন বলছে যার যার জেলা-উপজেলা থেকে সংগ্রহ করতে। সময় আছে মাত্র দুদিন। এ সময়ের মধ্যে এলাকায় গিয়ে সংগ্রহ করে আবার ঢাকায় পার্টি অফিসে জমা দেয়ার মতো সময় কই। কেননা, দলগুলো ৯ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ইসিকে জানাবে।
তবে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছিলেন, শুনানির পরপরই আমরা রায়ের সার্টিফায়েড কপি দিয়ে দেব।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, রায়ের সার্টিফায়েড কপি দেয়া হচ্ছে না। কপি না পেলে দল থেকে মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হবে।
চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী মো. এরশাদ উল্লাহর ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি এম হামেশ রাজু সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার জন্য দুদিন ধরে ঘুরছেন। কিন্তু পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, ‘আমরা আপিলে বৈধতা পেয়েছি। কিন্তু রায়ের সার্টিফায়েড কপি না দেয়ার কারণে আমরা শঙ্কায় আছি। কেননা, এটা পার্টি অফিসে না দিতে পারলে তো চূড়ান্ত মনোনয়ন পাব না। নির্বাচন কমিশন বুধবার জানিয়েছিল আজ সকালে দেবে। কিন্তু এখনও দিচ্ছে না। তাই আমরা বিক্ষোভ করছি।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন