ভাগ্যের বিড়ম্বনা একেই বলে! দুই বছর বয়সে মা, চার বছর হতেই বাবা দুনিয়া ছেড়ে চলে যান। এতিম লামিয়ার আশ্রয় হয় চাচার বাড়িতে। যে স্বজনদের এতিমকে বাড়তি যত্নে লালন-পালন করার কথা, তারাই হয়ে পড়লেন নিপীড়ক। ছোট্ট মেয়েটির ওপর চলতে থাকে অকথ্য নির্যাতন, যা প্রতিবেশীর চোখও এড়াইনি।
অবশেষে লামিয়ার (৯) ওপর নির্যাতনের অভিযোগে চাচা রমজান মিয়ার পরিবারের তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার প্রতিবেশীদের খবরে পুলিশ লামিয়াকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল হক সাংবাদিকদের জানান, লামিয়াকে নির্যাতনের অভিযোগে আপন চাচি নেহার সুলতানা (৫০), তার বড় মেয়ে রুমানা আক্তার রুম্পা (২২) ও ছোট মেয়ে সুমাইয়া আকতারকে (১৬) আটক করা হয়েছে। তবে পলাতক রয়েছেন চাচা রমজান মিয়া (৫৮)।
তাদের ফোন থেকে জব্দ করা করা হয়েছে লামিয়াকে নির্যাতন করার ভিডিও।
লামিয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাটের মৃত কুদ্দুস মিয়ার মেয়ে।
ওসি বলেন, নির্যাতনের ফলে লামিয়া মানসিকভাবে বিপদগ্রস্ত হয়ে গেছে। লামিয়ার কোনো অভিভাবক না থাকায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
তিনি আরও জানান, চাচা রমজান মিয়া ছোট লামিয়াকে বাড়িতে এনে ঘরদোর মোছা থেকে শুরু করে থালা-বাসন ধোয়ার কাজ করাতো। বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার কাজের পরিধিও বাড়ে।
আর কাজে সামান্য ভুল হলেই করা হতো শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। নির্যাতন করার সময় তা ভিডিও করে রাখতেন চাচার পরিবারের সদস্যরা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন