রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারার শটগান পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় গুলিতে এক যুবক আহত হয়েছেন। বন্দুকদির লাইসেন্স নবায়নের জন্য এই পরীক্ষা-নীরিক্ষার চলছিল। সেখানে দারা উপস্থিত ছিলেন না।
আহত যুবকের নাম আশিক ইকবাল। তিনিও নিজের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নবায়নের জন্য উপজেলা পরিষদে গিয়েছিলেন। পায়ে গুলি লাগার পর তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, দুপুরে সংসদ সদস্য দারার শটগানটির লাইসেন্স নবায়নের জন্য উপজেলা পরিষদে নিয়ে আসেন তার ভাই কাজী সুজা। এ সময় জেলা প্রশাসনের একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও দুইজন কর্মচারী অস্ত্রটি পরীক্ষা করছিলেন। তখন একজন কর্মচারী ট্রিগার ঠিক আছে কি না তা পরীক্ষার জন্য চাপ দেন। এতে গুলি বের হয়ে আশিক আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে গুলিটি সরাসরি গিয়ে পায়ে লাগেনি। প্রথমে মেঝেতে লাগার পর সেটি উপরের দিকে উঠে পায়ে লাগে। এ কারণে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি তার।
ইউএনও বলেন, ‘কাজী সুজা জানাননি যে শর্টগানে গুলি ঢোকানো আছে। তিনি হয়ত বলতে ভুলে গিয়েছিলেন। আর লাইসেন্স নবায়নের সময় ট্রিগারটিই পরীক্ষা করে দেখতে হয়। এ কারণে সেটিতে চাপ দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ’
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। এটি একটি দুর্ঘটনা। এ নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি।’
২০০৮ এবং ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে রাজশাহী-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন দারা। তবে নানা অভিযোগে এবার তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। এলাকাতেও ফিরছেন না।
এই ঘটনাটি নিয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে দারা বলেন, ‘আমি ঢাকায় আছি। কিন্তু লাইসেন্স নবায়নের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে ভাইকে দিয়ে শটগানটি পাঠিয়েছিলাম। সেখানে একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন