জাতীয় নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল বাতিল করে সবার সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নতুন তফসিল ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন না ঘটিয়ে কমিশন একতরফাভাবে আবারও একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছে। তবে একতরফা কোন নির্বাচন দেশের জনগণ গ্রহণ করবে না। আমি আশা করব সংঘাত এড়াতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে দুুই পক্ষই সুমতির পরিচয় দেবে। আলোচনার মাধ্যমে এই তফসিল বাতিল করে পুনরায় সবদলের মতামতের ভিত্তিতে নতুন তফসিল ঘোষণা করার জন্য আহবান জানাই। গতকাল বিকালে জাতীয় জনতা ফোরামের পক্ষ থেকে বর্তমান দেশের পরিস্থিতির আলোকে এক মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের পরিমাপক হলো ভোট। ভোটাধিকারই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি।
জনগণের স্বাধীনমুক্ত ভোটাধিকার প্রয়োগ যদি বাঁধার সম্মুখীন হয় তাহলে- রাষ্ট্রের কাঠামোজনিত মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন ও সংবিধানবিরোধী। কারও অমতে কাউকে শাসন করা অথবা কারও থেকেই মানুষ গণতন্ত্রের চর্চা করে আসছে।
জনগণ নিজেরাই ঠিক করে কে তাদের শাসক হবেন। তিনি বলেন, সরকার শক্তি প্রয়োগ করে তফসিল ঘোষনা করেছে। আওয়ামী লীগের এই দখলদারিত্বের নির্বাচনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে মাঠে আন্দোলন করে চালিয়ে যাচ্ছে বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক দলগুলো। সরকার একদিকে বলছে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে অন্যদিকে তারা আগে থেকেই তাদের জয় ঘোষনা করার জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমাজউদ্দিন বলেন, সরকার জানে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে বিএনপি এককভাবে ১৫১ আসনে বিজয়ী হবে। সেই ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে চাচ্ছেনা। একতরফা নীল নক্সার নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
এর আগে তার সঙ্গে মতবিনিময় করেন জনতা ফোরামের উপদেষ্ঠা ও সিলেট-৬ আসনের বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী এডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমদ, চাঁদপুর-১ আসন থেকে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী আ হ ম মনিরুজ্জামান, ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দীকী তালুকদার, সহ সভাপতি কলামিস্ট এনামুল হক কাফি, শাকের এম মুনিম, ডা. তানভীরুল আমীন, সদস্য সচিব মাহি আল ফয়সাল খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আমির হোসেন সরকার।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন