বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সদস্যদের স্বতন্ত্র বা জোটগতভাবে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার দাবি জানিয়েছে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি। তবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এজন্য প্রয়োজনীয় আইন বাংলাদেশে নেই।
মঙ্গলাবার (২৩ অক্টোবর) সকালে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি ইসির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সচিব এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সংগঠনটির নেতা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন-সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন।
কমিটির নেতারা আরো দাবি জানিয়েছেন, জামায়াতের অনুসারী বা নেতাকর্মী কিংবা যুদ্ধাপরাদীদের উত্তরাধিকারী যেন নির্বাচনে কোনোভাবে অংশ নিতে করতে না পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। সিইসি এ বিষয়ে বলেছেন-এজন্য প্রয়োজনীয় আইন বাংলাদেশ নেই। পরবর্তীতে বিবেচনা করতে হবে। কেননা অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের বিষয় আছে। সরকারের অন্য আইনের বিষয়ও আছে।‘এছাড়া তারা সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে যাতে নির্বাচনে না নিয়োজিত করা হয়, সে দাবিও করেছেন।’
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি আইন-কানুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা তাদের অবহিত করবো। এছাড়া আরপিও সংশোধনের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে।
ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি তো দল নয়, তারা কি এমন দাবি করতে পারে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ইসি সচিব বলেন, যে কোনো সংগঠন আলোচনার জন্য সময় চাইলে, সিইসি সময় দিলে, আলোচনা করা যেতে পারে। তারাও তো ভোটার। ভোটাররাও তো আমাদের স্টেকহোল্ডার।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন