বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘দেশজুড়ে আবারও শুরু হয়েছে গুপ্তহত্যা। নির্বাচন সামনে রেখে তরুণ-যুবক সমাজকে ভয় পাইয়ে দেওয়ার জন্যই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পাইকারি গুপ্তহত্যা শুরু হয়েছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সারা দেশে গুপ্তহত্যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে ইনডেমনিটি। কারণ একটাই, একতরফাভাবে নির্বাচন করতে তরুণ-যুবকদের কোনো যেন প্রতিরোধ না হয়। অবৈধ সরকার যাদের ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করবে, তাদেরই লাশ ধানক্ষেত, খালবিলে পড়ে থাকবে।’
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গতকালও নারায়ণগঞ্জে সড়কের পাশে গুলিবিদ্ধ চার যুবক ও উত্তরায় দিয়াবাড়ীর কাশবনে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে এখন আবারও সড়কের পাশে, নদীর ধারে, ঝোপঝাড়ে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে যুবকদের রক্তাক্ত লাশ। এর সঙ্গে বিচারবহির্ভূত হত্যা তো প্রতিদিন চলছেই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমীর খসরু উচ্চতর আদালত ও নিম্ন আদালতে জামিনে থাকার পরও গতকাল চট্টগ্রামে হাজিরা দিতে গেলে তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগে আইসিটি আইনে মামলা করা হয়েছে তাঁকে হয়রানি করার জন্য। সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগারে আটকে রাখতে চাচ্ছে শুধু তার গদি রক্ষার জন্য। দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কোনোভাবেই যাতে প্রতিবাদ না ওঠে, সে জন্যই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের এখন আটক করা হচ্ছে।
রিজভী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা অত্যধিক মাত্রায় দমনপীড়নের নীতি চালিয়েও স্বস্তি ও শঙ্কামুক্ত হতে পারছে না। এ জন্য সারা দেশে হাজার হাজার গায়েবি মামলায় লাখ লাখ জ্ঞাত-অজ্ঞাত নেতাকর্মীকে আসামি করার পর এখন জাতীয় নেতাদের আটকের পালা শুরু করেছে। তার প্রথম শিকার হলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তাঁর অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন