‘নিলুফা ভিলা’ ও ‘বিল্লাল মিয়ার’ বাড়িতে ৫ জঙ্গি (ভিডিও)
নরসিংদী প্রতিনিধি ২:১৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০১৮
31
Shares
নব্য জেএমবির আস্তানা সন্দেহে নরসিংদীর মাধবদী ও শেখেরচরে ঘিরে রাখা দুইটি বাড়িতে অভিযান শুরু করেছে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট (সিটিটিসি)।
সোমবার রাত ৯টার পর থেকে বাড়ি দুইটি ঘেরাও করে রাখা হয়। সিটিটিসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানান।
এদিকে জেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়ির দুটির আশপাশ এলাকার ৫০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়ার পর মধ্যরাত থেকে পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখা, ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও নরসিংদী জেলা পুলিশের সমন্বিত দল বাড়ি দুটি ঘেরাও করে রাখে। সোমবার রাত ৯টা থেকে মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত টানা ১৪ ঘণ্টা দুইটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ সদস্যরা।
কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট ও পুলিশ সদর দপ্তর এই যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে।
সিটিটিসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, অভিযানের জন্য সিটিটিসির সোয়াট টিমকে ডাকা হয়েছে। সোয়াট সদস্যরা মঙ্গলবার ভোরের দিকে এসে পৌঁছে। অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে যেকোনো সময়ে অভিযান চালানো হতে পারে। আস্তানা দুইটির মধ্যে একটি হলো মাধবদীর গাংপাড় এলাকার আফজাল হাজির ‘নিলুফা ভিলা’ নামে সাত তলা একটি ভবন। এই ভবনের ৫ম তলায় অন্তত দুইজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন বলে কাউন্টার টেরোরেজিমের কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন।
অন্যটি শেখেরচরের ভগিরথপুর এলাকার চেয়ারম্যান বাড়ি সড়কে ব্যবসায়ী বিল্লাল মিয়ার পাঁচ তলা একটি ভবন। এই ভবনের ৩য় তলায় অন্তত দুইজন নারী রয়েছেন বলে সিটিটিসি কর্মকর্তারা ধারণা করছেন।
বিগত বছরের ৭ নভেম্বর বিল্লাহ মিয়ার বাড়ীর ৩য় তলার এ ফ্ল্যাট স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দুইজনকে ভাড়া দেয়। তাদেরকে এ বাড়ীতে নিয়ে আসার অপরাধে ভগিরথপুর এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে নাজমুল ইসলাম (২০) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে এলাকাবাসীর সার্বিক নিরাপত্তায় বাড়ী দুটির আশপাশের এলাকার ৫০০ গজের মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা ঘোষণা করা হয়েছে।
এলাকাবাসীকে সরিয়ে নিতে কাজ করছে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হিসেবে মাধবদী ফায়ার সার্ভিসে একটি ইউনিট ও পুলিশের অ্যাম্বুলেন্সসহ একাধিক অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যেই কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
তিনি সকাল ১০টা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা জেএমবির আস্তানা দুইটি ঘেরাও করে রেখেছি। দুইটি বাড়িতে কমপক্ষে নারী পুরুষসহ পাঁচজন জঙ্গি রয়েছে বলে আমাদের ধারণা। গোয়েন্দা তথ্যে তাদের কাছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র অভিযানের প্রস্তুতি চলছে। যেকোনো সমর অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
সকাল সোয়া ১১টার দিকে গুলির শব্দ পাওয়া গেলে অভিযান শুরু করে পুলিশের সোয়াট ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট (সিটিটিসি)। বেলা দেড়টা পর্যন্ত অপারেশন চলেছে বলে পুলিশের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী সাংবাদিকদের জানান।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বাড়ী দুটি ঘেরাও করে রাখে পুলিশ। বাড়ীর ভিতর থেকে গুলির শব্দ আসলে সোয়াট টিম অপারেশনে নামে। অপারেশন চলবে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন পুলিশের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন