অনলাইন, টেলিভিশনসহ সকল গণমাধ্যমকে একই নিয়মের মধ্যে রাখতে সম্প্রচার কমিশন গঠনের বিধান রেখে সম্প্রচার আইন ২০১৮’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। কি থাকছে এই সম্প্রচার আইনে?
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সেই আইন বিষয়েই বিস্তারিত বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। সম্প্রচার আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইনটির খসড়ায় অনলাইন গণমাধ্যমের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, সেই কমিশনের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ক্যাবল টেলিভিশন চ্যানেল ও ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। শুধু সম্প্রচার বলতে কি বোঝায় সেটাও বিস্তারিত বলা হয়েছে।
সম্প্রচার মিডিয়ায় অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার, মুক্তিযুদ্ধের তথ্য বিকৃতি বা ভুল তথ্য প্রচারের মত ২৪ অপরাধের শাস্তির বিধান রেখে তৈরি করা হয়েছে ‘সম্প্রচার আইন, ২০১৮’।
খসড়া অনুমোদিত সম্প্রচার আইনে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। সেই কমিটি গঠন করা হবে একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে। সেই সার্চ কমিটি হবে ৫ সদস্য বিশিষ্ট। তাদের যোগ্যতাও আইনে বলে দেয়া হয়েছে। এই সার্চ কমিটি যা সুপারিশ করবে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করবেন। রাষ্ট্রপতি তাদের মধ্যে থেকে একজন চেয়ারম্যানসহ কমিশন নির্বাচন করে দিবেন একজন নারী কমিশনারসহ।
Advertisement
সম্প্রচার আইনে সার্চ কমিটির যোগ্যতাও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে হয়েছে। সেখানে ৮টি বিষয় বলা হয়েছে, যেগুলো থাকলে সার্চ কমিটির সদস্য হওয়া যাবে না।
সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত সেই কমিশন সম্প্রচার যন্ত্রপাতির লাইসেন্স দেবে। অনলাইন গণমাধ্যমের নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে কমিশনের একক কর্তৃত্ব থাকবে।
খসড়া আইনে সম্প্রচার কমিশন গঠনের পাশাপাশি কমিশনারদের নিয়োগ, যোগ্যতা-অযোগ্যতা, মেয়াদ, পদত্যাগ, অপসারণ, পদপর্যাদা, পারিশ্রমিক ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া আছে বলে জানান তিনি।
এ আইন লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে খসড়ায়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন