শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গার্মেন্ট শ্রমিকফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তারা এ মিছিল করে। শ্রমিকদের অভিযোগ, ৮ হাজারের কথা বলে মালিকরা দিচ্ছে ৫৯৭৫ টাকা।
বক্তারা বলেন, ন্যায্য মজুরি থেকে শ্রমিকদের বঞ্চিত করতেই গার্মেন্ট শ্রমিক ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমিত্র কুমার দাশসহ শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা প্রচার করে প্রকৃতপক্ষে ৫ হাজার ৯৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৮ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির ন্যায্য দাবিকে উপেক্ষা করে শুধুমাত্র ৭ নং গ্রেডের মজুরি ৮ হাজার টাকা ঘোষণা করা হলেও অন্য গ্রেডের শ্রমিকদের মজুরি একই হারে বৃদ্ধি করা হয়নি এবং মালিক ও সরকার একজন নতুন শ্রমিকের মজুরি ৮ হাজার প্রচার করলেও তা ৫৯৭৫ টাকা নির্ধারণ করেছে।
বক্তারা আরও বলেন, সরকার ও মালিকপক্ষ গেজেটে ৬ মাস শিক্ষানবিশ সময় এবং শিক্ষানবিশ শ্রমিকের মজুরি ৫৯৭৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। ফলে গার্মেন্ট শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি প্রকৃতপক্ষে ৮ হাজার নয় ৫৯৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষানবিশ সময় শেষ হওয়ার পূর্বেই ছাটাই করে অন্য কারখানায় পুনরায় শিক্ষানবিশ হিসেবে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছে।
এভাবেই একজন শ্রমিককে মাসের পর মাস ৭ নং গ্রেডের মজুরি থেকে বঞ্চিত করার সুযোগ রাখা হয়েছে। অপরদিকে শ্রমিকের মর্যাদা না দিয়ে কর্মীদের মজুরি বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসব শ্রমিকের জন্য ঘোষিত মজুরি পুনঃবিবেচনা এবং শিক্ষানবিশ অজুহাতে কম মজুরি দেয়ার সুযোগ বাতিলের আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি অবিলম্বে সব শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সমাজতান্ত্রিক শ্রমিকফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন, সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, সহ-সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম গোলক, সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমিত্র কুমার দাস, সাইফুল ইসলাম শরিফ, হাসানাত করিব প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন