নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিচাঁদ গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক মো. আকতার হোসেন ও গৃহবধূ মোসা. লছিরন বেগমের মেধাবী মেয়ে আসমা খাতুন এবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেলেও অর্থাভাবে ভর্তি হতে পারছে না।
সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। এতে হতদরিদ্র বাবা মা ও তার পরিবারের লোকজন গর্বিত ও আনন্দিত। আসমা খাতুনকে ১৫ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে ভর্তি হতে হবে। কিন্তু এত বড় একটা দুর্লভ সুযোগ পাওয়ার পরেও প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে সে সুযোগ ব্যর্থ হওয়ার পথে। সেই সঙ্গে তার শিক্ষা জীবনও বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আকতার হোসেনের ১টি মেয়ে ও ১টি ছেলের মধ্যে আসমা খাতুন বড়। সে ২০০৯ সালে বালিচাঁদ দাখিল মাদ্রাসা থেকে এবতেদায়ীতে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ, ২০১২ সালে মায়ামারি টিএলবি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, ২০১৫ সালে মায়ামারি টিএলবি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। পরে এএইচএম শহীদ কামরুজ্জামান কলেজ, রাজশাহীতে ভর্তি হয় সে।
তার মেধার কারণে তার আত্মীয় স্বজনরাও সাহায্য করেন। তাদের সাহায্য ও সহযোগিতা ও বাবা অক্লান্ত পরিশ্রমের আয় থেকে বাঁচিয়ে মেয়ের লেখাপড়ার সুযোগ করে দেন আকতার হোসেন। ঐ কলেজ থেকে ২০১৭ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে আসমা খাতুন গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে। হতদরিদ্র আকতার হোসেন সন্তানদের শিক্ষার প্রতি অদম্য আগ্রহের কারণেই সন্তানরা শিক্ষার এ দুর্লভ সুযোগ পেয়েছে।
কিন্তু পরিবারের আয় অল্প হওয়ায়, ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় শুধু মাত্র একজনের আয়ের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় দুসন্তানের পড়ালেখার খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আকতার হোসেনকে। কিন্তু অর্থের অভাবে মেয়েকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করতে না পারায় মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তাই তিনি দেশের বিত্তবান মানুষের কাছে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করুন- ০১৭৬৬-১০০৫৫৯।
ব্রেকিংনিউজ/
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন