ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কালো ধারা বাতিলের দাবি জানিয়ে মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার ১১ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশ এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, সরকার বলেন এই আইন শুধু অনুসন্ধানমূলক নিউজ এর ক্ষেত্রে করা হয়েছে কিন্তু আসলে এই আইন করা হয়েছে জনগণের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার জন্য। আর সব ধরনের নিউজ এর ক্ষেত্রে যাতে কেউ এই সরকারের কুকর্মের কথা প্রকাশ করতে না পারে।
বাংলাদেশ মিডিয়া মুক্ত করার জন্য ওই আইন করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে এ আইন করা হয়েছে যাতে সরকারের কু-কর্মের প্রকাশ করতে না পারে। অতি সহজে যাতে সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে ।
অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, সংবিধান বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। যে আইন সোশ্যাল মিডিয়া স্বাধীনতা কেড়ে নেয় যে আইন জনগণের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেয় সে আইন অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
তিনি বলেন, কিছুদিন পরে জাতীয় নির্বাচন, এই নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার এই ডিজিটাল আইন তৈরি করেছে যাতে নির্বাচনে সরকারের দুর্নীতি ভোট চুরি আগের দিন সিল মারা কোন কোন মাধ্যমে প্রকাশ করতে না পারে তার জন্য এই আইন করা।
এ সময় তিনি দেশের জনগণকে এই আইনের বাতিলের দাবিতে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান।
।
জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকার বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্রকে কেড়ে নিয়েছিল। আজ ডিজিটাল আইন করে বাক স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়েছে। এই আইন দেশের জনগণ মানে না। তাই এই সরকারের পতন অতি তাড়াতাড়ি হবে। এই সরকারকে পতন করে মানুষের বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা হবে বলে তিনি যোগ করেন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী , সাধারন সম্পাদক .মো শহিদুল ইসলামসহ আরো অনেকে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন