মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে নতুন পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
কতিপয় ব্যক্তির ফেসবুক একাউন্টে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে রাজধানীর কাজলা, দনিয়া, যাত্রাবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে দুটি মোবাইল ও একটি বিকাশ রেজিস্টার খাতাসহ দু’জনকে আটক করে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম টিম।
এরপর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বাড্ডার আলিফনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি মোবাইল ও দুটি ল্যাপটপসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, কাউসার গাজী, সোহেল মিয়া, তারিকুল ইসলাম শোভন, রুবাইয়াত তানভির আদিত্য ও মাসুদুর রহমান ইমন।
পরে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ধারা ২৩(২), ২৪(২) ও ২৬(২)সহ পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন ১৯৮০ এর ৪/১৩ ধারায় মামলা দায়ের করে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি’র অর্গানাইজড ক্রাইম টিমের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসকারী এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড কাউসার গাজী। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, আসল প্রশ্ন ফাঁস করতে না পারায় এখন তারা নিজেরাই ভুয়া প্রশ্নপত্র করছে। পরে সেসব প্রশ্ন বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করতেন।’
মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, মাস্টারমাইন্ড কাউসার গাজীকে এ কাজে সহযোগিতা করতেন তার বন্ধু সোহেল মিয়া। তিনি অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভুয়া বিকাশ একাউন্ট খোলার মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতেন।
তিনি বলেন, ‘চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের প্রতারণা করে আসছেন। এ বছর প্রশাসনের তৎপরতার কারণে মেডিকেলের আসল প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে না পারায় ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে ১০টি ভুয়া ফেসবুক একাউন্টের মাধ্যমে প্রচারণা চালান তারা।’
সিআইডি’র এই কর্মকর্তা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এই মামলাটি তদন্তনাধীন আছে। আমরা আশা করি, শিগগিরই এই প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যকেও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন