দেশ ও সমাজের স্বার্থে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখানে শুধু গোষ্ঠীর স্বার্থ দেখলে চলবে না। আমাদের সাংবাদিকরা এতো সংবেদনশীল হয়ে উঠছেন, তারা এতো বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন। কেন? কি কারণে? এর কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি না। আমরা মনে করেছি, দেশের কল্যাণে ও জাতির কল্যাণে এবং শিশুর কল্যাণে এই আইন করেছি।
বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় সংসদ নেতা একথা বলেন।
নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোট শিশুরা এতো স্মার্ট। আজকের একটা ঘটনা বলি। আমার নাতি, যার বয়স মাত্র চার বছর। আমার ফোনটা নিয়েই আমি যে পিন কোড দিয়ে রেখেছি। আমি কখন হয়তো খুলতে গেছি সেটা সে দেখে পিন কোড মুখস্থ করে ফেলেছে এবং ফোন নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খুলে ফেলেছে। খুলে সে বিভিন্ন গেম ডাউনলোড করেছে। পুরো ফোন ভরা গেম ডাউনলোডে। ‘একটা শিশু গেম সে খেলতে শুরু করেছে। সেই গেমে লেখা আছে থার্টিন প্লাস। অবশ্য তার মা এসে সঙ্গে সঙ্গে ধরেছে যে, তুমি তো এটা খেলতে পারো না। কেবল চার বছর শেষে ৫ বছরের এটা তো তোমার জন্য না। অবশ্য অমন ভাবে খারাপ কিছু ছিলো না। কিন্ত তারপরও তাকে তো সেটা বুঝাতে হবে, শেখাতে হবে। অনেক বেশি স্মার্ট। বারবারই পিন কোড বদলাতে হয়। কখন যে তারা নিয়ে ফেলে, ধরে ফেলে, এই বাচ্চারা তাড়াতাড়ি নিয়ে ফেলে এদের নিরাপত্তা তো দরকার, এমন কোনো গেইম থাকা উচিৎ না।’
শেখ হাসিনা বলেন, যেসব বিষয় শিশুদের মনে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। সে কারণে আমরা হয়তো আমাদের বাচ্চাদের সর্তক করি। আমরা নজরদারিতে রাখি কিন্তু সবাই তো তা করে না। টাকা হয়েছে, তাই শিশুদের হাতেও স্মার্টফোন দিয়ে দেয়। আমাদের সমাজকে রক্ষা করতে হবে। প্রত্যেকটা মানুষের চরিত্র রক্ষা করতে হবে।
‘শিশুরা যেন বিপথে না যায়, যুব সমাজ যেন বিপথে না যায়- সেদিকে বিবেচনাই করেই আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল পাস করেছি। কাজেই এটা দুশ্চিন্তার হবার কিছু নেই। বরং যারা এগুলো বলছে, তাদের বলবো এই দেশে তো অনেক কিছু-ই ঘটে গেছে। অতীতেরগুলো চিন্তা করুক না, এখন কেমন হচ্ছে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন