জাতীয় সংসদের ভেতরে-বাইরে বিভিন্ন পক্ষের আপত্তি, উদ্বেগ ও মতামত উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত বুধবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করা হয়েছে। এই আইন পাশের পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন সরকার নিরাপত্তার নামে জনগণকে নিরাপত্তাহীনতার মুখে ঠেলে দিলো। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার আরেকটি ভুল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের আপত্তির মুখে বিলটি পাস হয়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড.ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাশের মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করা হয়েছে। আমরা এর বিরোধিতা করেছি। এতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। এটি সরকারের অনড় অবস্থানের বহিঃপ্রকাশ।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এই আইন পাশের মাধ্যমে সরকার নিজের করব নিজে খুঁড়লো। সরকার খুব ভুল কাজ করেছে। তারা নির্বাচনের আগে আরেকটি ভুল করলো।
তিনি বলেন, সরকার জনগণের মুখে কুলুপ এঁটে দিতে চায়। তারা কোনো কথা বলতে দেবে না।
এই আইনে বলা হয়েছে, আইনটি কার্যকর হলে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল হবে। তবে এই আইনটিতেই বিতর্কিত ৫৭ ধারার বিষয়গুলো চারটি ধারায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশকে পরোয়ানা ও কারও অনুমোদন ছাড়াই তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন