বিশ বছর হলো স্বামীকে হারিয়েছে রহিমা বেগম। ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনি নিয়ে চার শতাংশ জমির মধ্যে বসবাস তার। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অব্যাহত ভাঙনে তার সেই জমি টুকুও পদ্মায় বিলিন হয়ে গেছে। শেষ সম্বল হারিয়ে দিশেহারা রহিমার চোখে-মুখে কান্নার ছাপ। শুধু রহিমা বেগম নন, তার মতো এমন শত শত মানুষ আজ দিশেহারা। সরকারি সহযোগিতার আশায় প্রহর গুনছেন তারা।
এদিকে অব্যাহত পদ্মার ভাঙনে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে। নড়িয়া এলাকার বাঁশতলাও কেদারপুর নামক স্থানে এক সপ্তাহ বিরতির পর নতুন করে ভাঙনের কবলে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ১শ বশতঘর সরিয়ে নিয়েছে ভাঙন কবলিতরা। নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে ৫টি ভবন। এদিকে পুনর্বাসনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন ভাঙন কবলিতরা।
পাউবোর শরীয়তপুর কার্যালয়ের উপ-বিভাগী প্রকৌশলী তারেক হাসান বলেন, এ বছর ভাঙনের তীব্রতা অনেক বেশি, জিউ ব্যাগ ফেলার কারণে কিছুটা কম ভাঙছে, তাতে থামানো সম্ভব হচ্ছেনা।
জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, ভাঙন কবলিতদের আশ্রয়ের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। ভাঙন কবলিত সব পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল ও শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। আর পুনর্বাসন সহায়তা হিসেবে টিন ও নগদ টাকা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, গত পাঁচ দিন যাবত ভাঙন কবলিত এলাকায় আছি।এখানকার মানুষের সাথে থেকে কাজ করছি। নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির একটি ভবনের বেশি অংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিরাপদ ভবনে দেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৮২ টি পরিবার নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ও বেগম আশরাফুন্নেছা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন