মা-বাবা ও স্বজনদের খুঁজে না পেলেও পাবনাবাসীর ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন সুদূর ডেনমার্ক থেকে আসা মিন্টো কার্স্টেন সনিক ও তার স্ত্রী।
শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে পাবনা প্রেসক্লাবে ‘মিন্টোর জন্য ভালোবাসা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এই দম্পতিকে বরণ করে নেয় পাবনাবাসী।
অনুষ্ঠানে মিন্টো কার্স্টেন সনিককে পাঞ্জাবির সঙ্গে গামছা এবং তার স্ত্রী অ্যানিটি হোলমিভেনকে শাড়ি পরিয়ে অনুষ্ঠানে নিয়ে আসেন আয়োজকরা। এরপর তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ফ্রেমে আঁকা মিন্টো দম্পতির একটি ছবি ও বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা।
এ সময় মিন্টো কার্স্টেন সনিক বলেন, আমাকে অনেকেই বলেছেন যে বাংলাদেশিরা খুবই খারাপ, ভয়ানক সন্ত্রাসী। কিন্তু এখন আমার ধারণা পাল্টে গেছে। এ দেশের লোকজন খুবই ভালো। আমি প্রতিবছর পাবনায় আসব। আপনারা আমাকে অনেক আপন করে নিয়েছেন। আমি আমার স্বজনদের না পেলেও আমি মনে করি আপনারাই আমার আত্মীয়স্বজন। আমি আপনাদের ভালবাসায় মুগ্ধ হয়েছি।
মিন্টো কার্স্টেন সনিক সাত বছর বয়সে পাবনার বেড়া উপজেলার নগরবাড়ি ঘাট এলাকা থেকে হারিয়ে যান। হারানো শিশুটিকে ঢাকার একটি শিশুসদনে রাখেন চৌধুরী কামরুল হুসাইন নামের এক ব্যক্তি। পরে শিশুসদন থেকে ডেনমার্কের এক নিঃসন্তান দম্পতি মিন্টোকে দত্তক নিয়ে যান। সেখানেই তার শৈশব-কৈশোর কাটে।
ডেনমার্কের নাগরিক অ্যানিটি হোলমিভেন নামের এক চিকিৎসককে বিয়ে করে সেখানে সংসার জীবন শুরু করেন মিন্টো। নিজের জন্মদাতা মা-বাবাকে ভুলতে পারেননি তিনি। তাই তাদের সন্ধানে স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন মিন্টো। মা-বাবা ও স্বজনদের খোঁজে ১৫ দিন ধরে পাবনা শহরসহ নগরবাড়ি এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন মিন্টু- অ্যানিটি দম্পতি।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন