সড়ক থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থীর ভাই।
১৯ আগস্ট, রবিবার দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার মহানগর আদালত প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের জামিন পেতে অভিভাবক-আইনজীবীরা আসেন। ওই সময় জারিফ হাসান নামের একজন এই অভিযোগ করেন।
জারিফ হাসান প্রিয়.কমকে বলেন, ‘আমার ভাই মেহেদী হাসান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। মেহেদী কোনো ধরনের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নয়। গত ৬ আগস্ট মেহেদীকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে গাড়ি ভাঙচুরের মামলা দিয়েছে ভাটারা থানা পুলিশ। দুই দিন রিমান্ডে দিয়েছে। তবে মেহেদীকে মারধর করেনি।’
কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নয়, তবে তার (মেহেদী) বিরুদ্ধে মামলা হলো কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে উত্তরে জারিফ বলেন, ‘ফাইস্যা গেছি কিছু করার নাই।’
পরে জামিন শুনানির পর মেহেদী হাসান অন্য আরও ২৪ শিক্ষার্থীর সঙ্গে জামিন পেয়েছেন।
জামিন হওয়া ২৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে বাড্ডা থানায় করা মামলার ১৪ আসামিদের মধ্যে ১০ শিক্ষার্থী, ভাটারা থানার মামলায় ৮ আসামির মধ্যে ৬ শিক্ষার্থী এবং ধানমন্ডির আলাদা তিন মামলায় ৯ শিক্ষার্থী রয়েছেন। অন্য শিক্ষার্থীদের জামিন শুনানি সোমবার হতে পারে।
২৯ জুলাই রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় শহিদ রমিজ উদ্দিন স্কুল ও কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেয় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস। এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে সড়কে নামে। ওই আন্দোলনের সময় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে অনেককেই আটক এবং বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
প্রিয়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন