পটুয়াখালীর মহিপুর থানার সদর ইউনিয়নে সেরাজপুর গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে সৎ মা সালমা বেগমকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ ক’দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক রাখলেও বৃস্পতিবার রাতে গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ মামলায় পুলিশ কাওসার ঘরামী (২২) নামে এক যুবককে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতার করে। তাকেও আদালতে প্রেরণ করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। তবে আদালত কোনো নির্দেশনা দেননি বলে মহিপুর থানার এসআই হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একদল অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত নিহত ছাত্রীর ঘরে প্রবেশ করে পালাক্রমে ধর্ষণ করলে অচেতন হয়ে পড়ে। গোপনাঙ্গ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। শঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। বর্বর ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনার পর এলাকার লোকজন আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।
এ ঘটনার পর থেকে নিহত ছাত্রীর সৎ মা সালমা বেগমকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক রাখে। বুধবার নিহত ছাত্রীর বাবা ইসমাইল ঘরামী অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন। নিহত শিশুটি মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সৎ মাকে গ্রেফতারের ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন