ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ১২ লাখ টাকা দাবি করায় যশোরের অভয়নগর থানার পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের যশোর পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।
কর্মকর্তারা হলেন- এসআই গিয়াস উদ্দিন, এএসআই আয়নাল, এএসআই মো. শামছুজ্জামান রহমান, এএসআই তবিবুর রহমান ও এএসআই কাজী শাহ আলম।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বুধবার রাতে অভয়নগর থানার এসআই মো. গিয়াস উদ্দিন এবং এএসআই মো. শামছুজ্জামান উপজেলার বুইকরা গ্রামের গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি মোহাম্মদ আলীকে (৩০) গ্রেফতার করেন।
এরপর তাকে থানায় রেখে বেদম প্রহার করা হয়। পরে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তার কাছে ১২ লাখ টাকা দাবি করা হয়।
মোহাম্মাদ আলীর বোন জোহরা খাতুন জানান, মোহাম্মাদ আলী চট্টগ্রামে ট্রাকে হেলপারি করেন। তার নামে তিনটি ওয়ারেন্ট রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি বাড়িতে ভাত খাচ্ছিলেন। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেলে করে এসে ছয়জন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার মোহাম্মাদ আলীকে আদালতে নেয়ার উদ্দেশে থানা থেকে নিয়ে গেলেও তাকে আদালতে সোপর্দ করেননি। রাতে আবার থানায় ফিরিয়ে আনে তাকে। এরপর থানা ভবনের দোতলায় একটি ঘরে আটকে রেখে বেদম মারধর করা হয়।
তার বোনের দাবি, তাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয়। তাকে ক্রসফায়ার থেকে বাঁচাতে পুলিশ আমাদের কাছে ১২ লাখ টাকা চায়। আমরা গরিব মানুষ। এত টাকা কোথায় পাব।
অভয়নগর থানার ওসি শেখ গনি মিয়া বলেন, মোহাম্মাদ আলীর নামে ৩টি মামলার ওয়ারেন্ট ছাড়াও ৩টি মাদক আইনে মামলা রয়েছে। শুক্রবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
৫ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে কেন প্রত্যাহার করা হয়েছে তা তিনি বলতে চাননি তবে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন