অবশেষে শারীরিক প্রতিবন্ধী সাইফুলকে ভাতা কার্ড করে দিলেন ঘাটাইলের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলরুবা আহম্মেদ। সেই সাথে সাইফুলের থাকার জন্য ঘর ও তার চিকিৎসার আশ্বাস দেন ইউএনও।
‘২০ বছর ধরে শিকলে বন্দি সাইফুল’ শিরোনামে ঢাকাটাইমসে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি ইউএনও’র নজরে আসে। পরে ইউএনও দিলরুবা আহম্মেদ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা, স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলর রাশিদা বেগমকে নিয়ে তার বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি সাইফুলকে শিকলে বন্দি দেখতে পান। পরে ইউএনও তাৎক্ষণিক সাইফুলকে প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান করেন। সেই সাথে সাইফুলের থাকার জন্য ঘর ও তার চিকিৎসার আশ্বাস দেন তিনি।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ধারিয়াল গ্রামের মৃত বহর আলী মণ্ডলের ছোট ছেলে সাইফুল শারীরিক প্রতিবন্ধী। তাকে দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। মা রহিমা বেগম তার দেখাশোনা করে। ৩০ বছর আগে শারীরিক প্রতিবন্ধী এই সাইফুলের জন্ম হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে সাইফুলের পাগলামি বেড়ে যায়। একাধিকবার সে হারিয়েও যায়। এরপর ১০ বছর বয়সে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। প্রায় ২০ বছর হয়ে গেছে তার শিকলে বন্দি জীবন। এই ৩০ বছরে প্রতিবন্ধী সাইফুলের কপালে জোটেনি কোনও সরকারি ভাতা।
সাইফুলের মা রহিমা বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। টাকার অভাবে ছেলের চিকিৎসা করতে পারিনি। চিকিৎসা করতে পারলে হয়তো আমার ছেলে ভালো হতো। তার ছেলের জন্য প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড করে দেয়ায় এবং সাইফুলের চিকিৎসার আশ্বাসে তিনি অত্যন্ত খুশি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে সাইফুলের জন্য ভাতা কার্ড প্রদান করা হয়েছে। তার থাকার জন্য একটি ঘর ও তার চিকিৎসার ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন