যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কটুক্তি করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও প্রকাশ্যে ঘুরছে আসামি আব্দুল মালেক। পুলিশ বলছে, যে আইডি থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করা হয়েছে সেটি মালেকের আইডি নয় বলে দাবি করেছে সে। এদিকে জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আসামি নিম্ন আদালতে হাজির না হয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী গাজীপুর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন জর্জ।
অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বাদী নাসির উদ্দিন জর্জ বলেন, ‘আমাকে না জানিয়ে মামলাটি পুলিশ বিভাগের অন্য একটি শাখায় স্থানান্তর করা হয়েছে। গত ৫ জুন অভিযুক্ত আব্দুল মালেককে চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। যার চার সপ্তাহ আগে জামিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। অথচ আসামি প্রকাশ্যে ঘুরছে।’ এদিকে, গত ১৩ আগস্ট পর্যন্ত অভিযুক্ত মালেক নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণও করেনি বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম রতন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মামলাটি জুলাই মাসে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবিতে) স্থানান্তরিত হয়েছে। তাছাড়া এর আগে আমরা মালেককে খুঁজেছি কিন্তু পাইনি।’
জামিন আবেদনের কপিগাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আমীর হোসেন জানান, অভিযুক্ত মালেক দাবি করেছেন, যে আইডি থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি করা হয়েছে, সেটি তার আইডি নয়। মামলাটি ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ারুল ইসলাম তদন্ত করছেন। প্রকাশ্যে মাওনা চৌরাস্তায় অভিযুক্ত আব্দুল মালেক তার সিটি হাসপাতালে নিয়মিত যাতায়াতের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, গত ২০ মে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’ নামক একটি আইডি থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তি করা হয়।এরপর দ্রুত মন্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর পর ২৪ মে বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন জর্জ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া গ্রামের হাছেন আলীর ছেলে আব্দুল মালেককে আসামি করা হয়।
শ্রীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান সফিক বলেন, ‘এ ঘটনার ন্যায় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে যারা বাধা দেবে তাদেরকেও চিহ্নিত করতে হবে। এর ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা জরুরি।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন