তিন মাসের মধ্যে ঢাকা শহরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা তৈরি করে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী ২২ নভেম্বর এ তালিকা দাখিল করার দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ, রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
গুলশান শপিং সেন্টারের ছয় তলা ভবনের গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ওই ভবনটি ভেঙে ফেলতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না,তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া,ঢাকা শহরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন শনাক্ত করে রাজউক, গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং ফায়ার সার্ভিসকে নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট)) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট জুবায়দা গুলশান আরা। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।
এর আগে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন-২০০৩ অনুসারে গুলশান শপিং সেন্টারকে ব্যবহার অনুপোযোগী ঘোষণা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই ভবন ভাঙার নির্দেশনা চেয়ে গত ৯ আগস্ট স্বদেশ নামে একটি এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক মো. হানিফ জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গুলশান শপিং সেন্টার নিয়ে আজকে একটি রুল জারি হয়েছে। এছাড়া, এই রুলে ঢাকা শহরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন শনাক্ত করে রাজউক, গণপূর্তমন্ত্রণালয় এবং ফায়ার সার্ভিস নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ কেন নেওয়া হচ্ছে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এছাড়া, গুলশান শপিং সেন্টারের ছয়তলা ভবনের গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ওই ভবনটি ধ্বংস করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল জারি করেছেন আদালত।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন