সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ঝড় তুলেছেন সেফাতুল্লাহ ওরফে সেফুদা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি একসময় শিক্ষকতা করেছেন বলেও তিনি দাবি করেছেন।
মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এমন দাবিও করেছেন তিনি। যদিও তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সময়ের সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তি। কিম্ভুতকিমাকার ভঙ্গিতে অদ্ভুত, অশ্লীল আর বেপরোয়া কথাবার্তা ছড়াচ্ছে ভার্চুয়াল জগতে। তিনি ইউটিউবে এসে অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ নানাজনকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেন। এছাড়া তার অনেক ক্ষমতা আছে বলেও প্রচার করেন। তিনি ইউটিউবে নানা ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। এসময় অস্রাব্য ভাষা প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অস্ট্রিয়া প্রবাসী এই বাংলাদেশির এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রত তার পরিবারের সদস্যরাও।
জানা গেছে, সেফাতুল্লাহ ওরফে সেফুদা ফেসবুক ট্রলের একটি বড় অংশে আধিপত্য বিস্তার করেছেন। দিনরাত বিশ্রী অঙ্গভঙ্গিতে আজগুবি, অশ্লীল আর বেপরোয়া কথা বার্তাসম্বিলত ভিডিও ছেড়ে দিচ্ছেন ফেসবুকে। এনিয়ে মাতামাতি করছেন তরুণ প্রজন্ম।
যদিও সেফাতুল্লাহ পরিবারের সদস্যরা তার আচরণে বিব্রত। তারা মনে করেন সেফুদা মানসিক রোগে আক্রান্ত। সেফায়েতউল্লাহ স্ত্রী জানান, ২৮ বছর আগে দেশ ছাড়েন তিনি; বর্তমানে তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত। তার সিজোফ্রেনিয়া হয়েছে। ওই লোকটার জন্য সমাজে মুখ দেখাতে পারছেন না তারা। তাকে আইনের আওতায় আনারও দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, কয়েক মাসে, আসাদ পং-পং নামেও এক মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেই এমন বেপরোয়া ও অশ্লীল ভিডিও ছড়িছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বাংলাদেশের শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে কটুক্তি করায় তাকে গ্রেপ্তার করে মালয়েশিয়া পুলিশ।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সেফাতুল্লাহকে গ্রেফতার করা এখন সময়ের দাবি হয়ে পড়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন