তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে গ্রেফতার হওয়া আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লেখক-দার্শনিক নোয়াম চমস্কি, ভারতীয় লেখক অরুন্ধতী রায়, কানাডিয়ান লেখক নাওমি ক্লেইন এবং ভারতীয় বুদ্ধিজীবী বিজয় প্রসাদ।
১০ আগস্ট, শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, লেখালেখি ও সমালোচনা মানব জীবনের মৌলিক দিক। একটি রাষ্ট্রে যা ঘটে, তা বলার অধিকার নাগরিকদের রয়েছে এবং সেই জায়গায় বাধা দেওয়া মৌলিক অধিকারকে অস্বীকার করার শামিল। এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, শহিদুল আলমকে জেলহাজতে নির্যাতন করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শহিদুল আলম ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে শিল্পকলা পদক পেয়েছেন এবং বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। শহিদুল আলমকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে সব ধরনের অভিযোগ বাদ দিতে হবে। একইসঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মধ্যস্থতা করতে হবে।
গত ৫ আগস্ট, রবিবার কাতারভিত্তিক টেলিভিশন আল জাজিরাতে ইন্টারভিউ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ধানমন্ডির বাসা থেকে দৃক গ্যালারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান শহিদুল আলমকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। ‘উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা বক্তব্য’ দেওয়ার অভিযোগে ৬ আগস্ট, সোমবার তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় আইসিটি আইনে মামলা করা হয়।
একই দিনে ডিবি পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরমান আলী এই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রীকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান নূর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রিয়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন