নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় শিশু গৃহপরিচারিকা পিতৃ-মাতৃহীন অনাথ মাহি (৮) আদালতে নির্মম নির্যাতনের ক্ষত চিহ্ন দেখিয়ে জবানবন্দি দিয়েছে।
রোববার বিকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবতাবুজ্জামানের আদালত মাহির জবানবন্দি গ্রহন করেছেন।
আদালত জবানবন্দি গ্রহণ শেষে অভিভাবক না পাওয়ায় মাহিকে শিশু-কিশোর উন্নয়ন সংশোধনাগার গাজীপুরে নিরাপদ হেফাজতে পাঠিয়েছেন।
এদিকে নির্যাতনকারী পাষণ্ড দম্পতি আতাউল্লাহ খোকন ও উর্মি আক্তারের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। সোমবার আদালতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
কোর্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হানিফ বলেন, অনাথ এই শিশুটির উপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। এখনো ডান হাতে গরম খুন্তির ছ্যাঁকার ঘা শুকায়নি। শরীরের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। জবানবন্দি দেয়ার সময় মাহি সবই আদালতকে দেখিয়েছে।
তিনি জানান, আদালত মাহিকে কারো হেফাজতে দেয়ার মতো অভিভাবক না পাওয়ায় নিরাপদ হেফাজতে থাকার জন্য গাজীপুর শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই ইলিয়াস জানান, ফতুল্লার পূর্ব ইসদাইর আনন্দনগর এলাকার শহীদুল্লাহর বাড়ির ভাড়াটিয়া আতাউল্লাহ খোকন ও উর্মি আক্তারের বাসায় তিন মাস ধরে পিতৃ-মাতৃহীন শিশু মাহিকে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজে নেয়।
এরপর থেকে শিশুটিকে প্রায়সময় বাসায় মারধর করতো। শুক্রবার রাতে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে ওই দম্পতির বাসায় গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় খবর দেন প্রতিবেশি জাকির হোসেন।
পরে পুলিশ এসে শিশুটিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কোনো অভিভাবক বা স্বজন না থাকায় এ ঘটনায় প্রতিবেশি জাকির হোসেন এই দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন