বগুড়ার ধুনট থানায় মামলা থাকার পরও এজাহারভুক্ত আসামিরা দিনমজুর বাদীর বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে বসতভিটা দখল করেছে।
রোববার বাদীর বসতভিটা দখল করে লোহার বেড়া দিয়ে সেখানে ঘর নির্মাণ করে আসামিরা। ফলে দিনমজুর বাদী তার মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের আনারপুর মৌজায় দিনমজুর গোলাম আকন্দের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ২৩ শতক জমির রয়েছে। সেখানে তিনি পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। কিন্তু একই গ্রামের স্কুলশিক্ষক গোলাপ আকন্দ জমির মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা করে।
এ অবস্থায় গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে গোলাপ আকন্দ তার লোকজন নিয়ে দিনমজুর গোলাম আকন্দের বাড়িঘর ভাঙচুর করে পাশের ডোবায় ফেলে দেয়। এ ঘটনায় বাধা দিতে গেলে দিনমজুরের মেয়েকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এছাড়া হামলাকারীদের মারপিটে দিনমজুরের বোন বুলি খাতুন ও জাহানারা খাতুন আহত হন।
এ ঘটনায় দিনমজুর গোলাম আকন্দ বাদী হয়ে পরদিন মঙ্গলবার রাতে স্কুলশিক্ষক গোলাপ আকন্দসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। কিন্তু পুলিশ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে এজাহারভুক্ত আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে রোববার দিনমজুরের ২৩ শতক বসভিটার মধ্যে ১২ শতকে বেড়া দিয়ে ঘর তৈরি করেছে।
এ বিষয়ে স্কুলশিক্ষক গোলাপ আকন্দ বলেন, আমার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিতে গোলাম আকন্দ জোর করে বসবাস করছে। আদালতে মামলা করার পরও ওই জমি থেকে ঘরবাড়ি অপসারণ করে নেয়নি। এ কারণে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গোলাম আকন্দের বসতভিটা থেকে ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়ে দখল নিয়েছি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধুনট থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম বলেন, বসতভিটা থেকে ঘরবাড়ি উচ্ছেদের বিষয়ে ২০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়েছে। তবে মামলার কোনো আসামি বিবাদমান জায়গায় বেড়া দেয়ার সঙ্গে জড়িত ছিল না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন