দ্বিতীয়বারের মতো রাজশাহী জেলা পরিষদ কার্যালয়ের ছাদের পলেস্তরা খসে পড়েছে। মূল ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ায় এর নিচে থাকা ফলস ছাদের টাইলসও খসে পড়েছে।
রবিবার চেয়ারম্যানের দপ্তরের সামনের অভ্যর্থনা জোনে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে গত ২০ মার্চ একই স্থান থেকে প্রায় ১০ ফুট অংশের পলেস্তরা খসে পড়ে। এবার এর পরিমাণ আরও বেশি। এ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে উঠেছেন জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জরাজীর্ণ এই ভবনে অফিস করতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার নিজেও আতঙ্কিত।
জেলা পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, মূল ছাদ থেকে প্রায় ১০ ফুটের মতো জায়গা থেকে পলেস্তরা খসে পড়েছে। এই পলেস্তরার চাপে মূল ছাদের নিচে থাকা টাইলসের ফলস ছাদও খসে পড়েছে।
আর ছাদের যে স্থান থেকে পলেস্তরা খসেছে, সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে বাঁশ। অনেক আগে অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হয় বলে ধারণা করছেন কর্মচারীরা।
তারা জানান, সকালে তারা অফিসে গিয়ে দেখেন, মেঝেতে ছাদের টাইলস ও কংক্রিট পড়ে আছে। চেয়ারম্যানের দপ্তরের সামনের এই ছাদের নিচে অফিস চলাকালীন সময় অনেকেই অবস্থান করেন। অফিস সময়ে এ ঘটনা ঘটলে হতাহতের আশঙ্কা ছিল বলেও জানান কর্মচারীরা।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় অবস্থিত জরাজীর্ণ এই একতলা ভবনটি আগে একজন সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয় ছিল। তখন জেলা পরিষদের কার্যালয় ছিল নগরীর কোর্ট এলাকায়। ২০১০ সালে এই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ভেঙে ফেলা হলে শ্রীরামপুরের এই ভবনটিতে শুরু হয় জেলা পরিষদের কার্যক্রম।
কিন্তু এর পরিবেশ মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। সামান্য বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। আবার একটু বেশি বৃষ্টি হলে পানি ঢোকে কার্যালয়ের ভেতরে। এ অবস্থায় নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পরিষদ। তবে এখন পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি।
চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, ভবনটি খুবই জরাজীর্ণ। তাই তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। ফলে জীর্ণ ভবনে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে অফিস করতে হচ্ছে।
এখন পলেস্তরা খসে পড়ার পর ছাদের ভেতর বাঁশ দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে তিনি নিজেও আতঙ্কিত হয়ে উঠেছেন বলে জানান চেয়ারম্যান।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন