পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস সমস্যাটিকে ডিজিটাল প্রযুক্তির কুফল হিসেবে দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, এই সমস্যা উন্নত বিশ্বেও আছে।বৃহস্পতিবার গণভবনে চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল গ্রহণ করে দেয়া ভাষণে এই কথা বলেন শেখ হাসিনা।
সকালে শুরুতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং পরে ১০টি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানকে সরকার প্রধানের হাতে পরীক্ষার ফলের অনুলিপি তুলে দেন।
চলতি বছর আগের বছরের তুলনায় খারাপ করেছে পরীক্ষার্থীরা। পাসের হার যেমন কমেছে, তেমনি কমেছে সর্বোচ্চ জিপিএ ফাইভ পাওয়ার সংখ্যাও।
গত কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। তবে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় এর একটি সমাধান বের করেছে সরকার। আর সেটি কার্যকর প্রমাণও হয়েছে।
এবার পরীক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ, কেন্দ্রে বিভিন্ন সেটের প্রশ্ন পাঠিয়ে ২৫ মিনিট আগে কোনে সেটে পরীক্ষা হবে, সেটি জানানোর পর আর কোনো প্রশ্ন আগেভাগে সামাজিক মাধ্যমে আসার খবর মেলেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস কেবল আমাদের দেশে না, বিভিন্ন উন্নত দেশেও এই সমস্যাটা দেখা যাচ্ছে।’
‘ডিজিটাল হওয়াতে… ডিজিটালের যেমন সুফলও আছে, সেই সাথে সাথে কিছু কুফলও আছে। খুব তাড়াতাড়ি তা প্রচার হয়ে যায়।’
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এবারের কৌশলকে চমৎকার বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘আধা ঘণ্টা আগে শিক্ষার্থীরা ঢুকে যায় পরীক্ষার হলে, ২৫ মিনিট আগে জানানো হবে প্রশ্নপত্র তাকে, কোন সেটটা নেয়া হবে। তার ফলে নকল বন্ধ হয়েছে।’
‘নকল করবে কেন? আমাদের ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করলেই তো ভালো রেজাল্ট করতে পারে। পড়াশোনায় মনযোগী হতে হবে।’
যারা পাস করেছে, তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে, যারা ফেল করেছে তাদেরকে নতুন উদ্যমে পড়াশোনা করে আবার পরীক্ষা দেয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন