শিক্ষার্থীদের ন্যায আন্দোলনে বার বার হামলা করেছে ছাত্রলীগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও এধরনের হামলা হলে তা প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৮ জুলাই) সকালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের যৌক্তিক দাবি সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করেছে। এমনকি শিক্ষকদের ওপরেও তারা হামলা করে। এসব ব্যাপারে বিচার চাইতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চুপ থাকছে। কিন্তু আমরা আমাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহতভাবে পালন করব। এবার যদি ছাত্রলীগ হামলা চালায়, তবে তাদের শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছে অভিযোগ করে তা ভেঙে দিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একই মানববন্ধনে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক রুশাদ ফরিদী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সাড়া পেয়ে এখানে এসেছি। কারণ তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নিজেদের ক্যাম্পাসে দাঁড়াতে তারা ভয় পাচ্ছে। এই ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছে।’
এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের বলবো, ত্রাসের রাজত্ব ভেঙে দিতে হবে। আমি আশা করি তারা মাঠে নেমে ত্রাসের রাজত্ব ভেঙে দেবে।’
মানববন্ধনে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন সসব বিভাগের চার শতাধিক শিক্ষার্থী। দাবিগুলো হলো- ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তি প্রদান, কোটা সংস্কার আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতারকৃতদের গ্রেফতার কারণ দর্শানো ও তাঁদের মুক্তি এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন লেখাসংবলিত প্ল্যাকার্ড তুলে ধরেন। এসব প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘প্রক্টর, ভিসি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চাই’, ‘আগে নিরাপত্তা পরে ক্লাস’, ‘শিক্ষা ও হাতুড়ি, একসঙ্গে চলতে পারে না’, ‘উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আর কত দিন’, ‘শিক্ষদের ওপর হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও ছাত্রসমাজ’ ইত্যাদি।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন