বিশেষ প্রতিনিধি
সিলেটের শিববাড়ি এলাকার আতিয়া মহল এখন ‘ধ্বংসাবশেষ’ বলে মনে করেন সিলেটের পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া। তার মতে ওই ভবনটি এই মুহূর্তে ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। যা কিনা এখনো সম্পুর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ এবং পরবর্তীতে বসবাসের অযোগ্য হিসেবে গণ্য হবে।
মঙ্গলবার ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’র সমাপ্তি ঘোষণা করে পুলিশের কাছে বাড়িটি হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী। এরপরই নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’র সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয় সিলেটের পুলিশ প্রধানের।
তিনি বলেন, ‘বাড়িটি (আতিয়া মহল) এখনো ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা ভিতরে প্রবেশ করিনি। সেখানে আরো বিস্ফোরক পাতানো থাকতে পারে।’
বাড়িটি কবে নাগাদ বাসিন্দাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হবে জানতে চাইলে গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এখনই কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সময় লাগবে।’ তাছাড়া বাড়িটি এই মুহূর্তে বাস যোগ্য নয় বলেও জানান তিনি।
বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন করেন সিলেটের পুলিশ প্রধান। তিনি বলেন, ‘কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে?’ তার মতে, বাড়ির মালিকের কোনো দোষ নেই। তিনি সব নিয়ম মেনেই বাড়ি ভাড়া দিয়েছেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ছবি ও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বাড়ির বিভিন্ন অংশ ভাঙা, বা ফুটো হয়ে আছে। সেনাবাহিনী অভিযানের সময় মর্টার শেল নিক্ষেপ করে বিভিন্ন স্থান দিয়ে ফুটো করেছিল জঙ্গিদের পাকড়াও করতে। এখন অভিযান শেষ হওয়ার পর প্রশ্ন উঠছে, বাড়িটির যে দশা হয়েছে তাতে এটিতে বাস করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় এর ক্ষতিপূরণ কে দেবে? সরকার কি তার ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার কোনো পদক্ষেপ নেবে? আবার এই বাড়িতে নতুন করে ভাড়া উঠতেও নানা কারণে লোকজন ভয় পাবেন। সরকার এসব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত মালিককে কিভাবে উদ্ধার করবে?
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন