২০ শতকের দীর্ঘতম যুদ্ধ হিসাবে পরিচিত ইরান-ইরাক দ্বন্দ্ব ১৯৮৮ সালের আগস্টে শেষ হয়েছিল। যুক্তরাজ্য উভয় পক্ষের মন জুগিয়ে চলছিলো, কিন্তু ১৯৮৭ সালে পারস্য উপসাগরে বৃটিশ তেল ট্যাঙ্কার জেন্টেল ব্রীজের উপর হামলার পর যুক্তরাজ্যের রক্ষণশীল সরকার ইরানের ওয়েস্টমিনস্টার-ভিত্তিক সামরিক ক্রয় সংস্থার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। এই যুদ্ধে পশ্চিমা অস্ত্র সামগ্রীর সিংহভাগ ইরাকে গিয়েছিল। যুক্তরাজ্য ছিল আন্তর্জাতিক অস্ত্র কোম্পানি, সামরিক সরবরাহকারী, ব্যাংক, ফ্রন্ট কোম্পানি এবং গুপ্তচর সংস্থাগুলি দ্বারা সমৃদ্ধ একটি বিশাল নেটওয়ার্ক, যারা ইরাকের পাশে ছিলো। এই নেটওয়ার্কে ছিলেন সৌদি অস্ত্র পাচারকারী আদনান খাশোগি এবং চিলির ডিলার কার্লোস কার্ডোয়েন; ইরাকের সাথে যুক্ত ব্লু-চিপ নির্মাতাদের মধ্যে ছিলো আমেরিকার ডুপন্ট এবং জাপানের হামামাতসু। ইউরোপীয়দের মধ্যে, পশ্চিম জার্মানি রাসায়নিক যুদ্ধাস্ত্র বিক্রি করেছিল, ফ্রান্স পারমাণবিক কৌশল এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অবদান রেখেছিল। তবে হোসেনের শাসনামলে সব থেকে নজর কেড়েছিলো "সুপারগান" নামক একটি জমকালো প্রকল্প। যা বৃটিশ কোম্পানি জেরাল্ড বুল নামে একজন ব্যক্তির সাথে মিলিত হয়ে শুরু করেছিলো । ২৩ বছরের বুল ছিলেন টরন্টো ইউনিভার্সিটির সর্বকনিষ্ঠ পিএইচডি-ধারক, পরবর্তী জীবনে আন্তর্জাতিক অস্ত্রের ব্যবসায় নিজেকে যুক্ত করেন ।
'আর্মিং ইরাক' প্রসঙ্গে বৃটিশ একাডেমিক মার্ক ফিথিয়ান বলছেন , যুক্তরাষ্ট্র এবং বৃটেন গোপনে সাদ্দামের যুদ্ধাস্ত্রে শান দিচ্ছিলো।
বুল প্রাথমিকভাবে "স্যাটেলাইট লঞ্চার হিসাবে দূরপাল্লার বন্দুক ব্যবহার করতে" আগ্রহী ছিলেন। ১৯৭০ এর দশকে অস্ত্র ব্যবসায় তিনি স্নাতক হন। পেন্টাগন বুলের পৃষ্ঠপোষক হয়ে ওঠে।''
সাংবাদিক উইলিয়াম লোথার রিপোর্ট করেছেন: '' চুক্তিটি সামান্য হলেও বুল বিশ্বাস করেছিলেন যে, এর ফল আগামী দিনে সুদূরপ্রসারী হবে ।'' পেন্টাগন বুল সম্পর্কে এতটাই কৌতূহলী ছিল যে, তারা তাকে গোপন অস্ত্রাগারে সম্পূর্ণ অ্যাক্সেস দিয়ে রেখেছিলো । ১৯৭২ সালের মাঝামাঝি ওয়াশিংটনের সিনিয়র অফিসাররা বুঝতে পেরেছিলেন যে, বুলকে প্রতিরক্ষা সেক্টরে অ্যাক্সেসের অনুমতি দিয়ে তারা একাধিক সুরক্ষা আইন ভঙ্গ করেছে। কারণ একদিকে বুলের কাছে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছিল না, অন্যদিকে তিনি মার্কিন নাগরিকও ছিলেন না। তাদের ভুল ঢাকতে এবং বুলকে আমেরিকান নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য তারা অ্যারিজোনার রক্ষণশীল রিপাবলিকান সিনেটর ব্যারি গোল্ডওয়াটারকে ১৯৭২ সালের অক্টোবরে একটি ব্যক্তিগত আইন পাস করতে রাজি করান। এর তিন মাস পর বুল একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন ।
১৯৭০ এর দশকের শেষের দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় অবৈধভাবে অস্ত্র রপ্তানির জন্য জেলে কিছুটা সময় থাকার পর বুল ইরাকের একজন আর্টিলারি ডিজাইনার হিসাবে কাজে নিযুক্ত হন এবং জীবনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে ১৯৮৮ সালে সাদ্দাম হোসেনের হয়ে কাজ শুরু করেন: উল্লেখযোগ্য ছিলো 'ব্যাবিলন' প্রকল্প । ইরাকি কর্মকর্তারা পরে জাতিসংঘের তদন্তকারীদের বলেছিলেন যে, ব্যাবিলন প্রকল্পের মধ্যে ১০০০ মিলিমিটার ক্যালিবারের দুটি বন্দুক, দুটি ৩৫০ মিমি (৩০ মিটার লম্বা একটি ব্যারেল সহ) এবং একটি ৩৫০ মিলিমিটার ক্যালিবার (৫২.৫মিটার দীর্ঘ) অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ইংল্যান্ড, বেলজিয়াম, স্পেন, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের বিভিন্ন অংশ থেকে অস্ত্রের বিভিন্ন উপকরণ এবং যন্ত্রাংশগুলি এসেছিলো । যদি অস্ত্রগুলি সফলভাবে সংঘটিত করা হতো তাহলে হয়তো গড়ে উঠতো সর্বকালের বৃহত্তম আর্টিলারি কামান। এদিকে যে দুটি বৃটিশ কোম্পানি সুপারগান তৈরি করেছিল তারা হলো - ওয়াল্টার সোমারস এবং শেফিল্ড ফরজমাস্টারস। সেইসময়ে অনেকেই বিশ্বাস করেছিলো, কোম্পানি দুটি বুঝি পেট্রোকেমিক্যাল প্ল্যান্টের জন্য পাইপ তৈরি করছে। শেফিল্ড ফরজমাস্টাররাও ১০০০ মিমি বন্দুকের মেকানিজমের জন্য টেন্ডার ডাকে। কাস্টমস অফিসাররাও সন্দেহ করেছিলেন যে, ফরজমাস্টার এবং সোমাররা জানত তারা পাইপ তৈরির পরিবর্তে আদপে কী তৈরি করছে । ১৯৯০ সালের প্রথম দিকে, ইরান-ইরাক যুদ্ধের তিন বছর পর, আইনি কর্মকর্তারা সমস্ত অ্যাংলো-ইরাকি বাণিজ্যকে সন্দেহের তালিকায় রাখে । যদিও বৃটিশ আইন প্রযুক্তিগতভাবে ১৯৮০ থেকে ৮৮ সালের মধ্যে বেশিরভাগ অস্ত্র লেনদেন নিষিদ্ধ করেছিল। এটি ততক্ষন পর্যন্ত কার্যকর ছিল যতক্ষণ না হুসেন কুয়েত আক্রমনের হুমকি দেওয়া শুরু করেন।
১৯৯০ সালের ২২ মার্চ বুলকে ব্রাসেলসে তার বাড়ির বাইরে হত্যা করা হয়েছিল। ১০ এপ্রিল, ব্রিটিশ শুল্ক কর্মকর্তারা উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের টিসপোর্ট ডকে অভিযান চালিয়ে সুপারগানের যন্ত্রাংশ জব্দ করে। আট দিন পরে, বাণিজ্য ও শিল্প সচিব নিকোলাস রিডলি হাউস অফ কমন্সে বলেছিলেন যে তিনি একটি দূরপাল্লার বন্দুক তৈরির জন্য ইরাকি প্রকল্প সম্পর্কে সচেতন ছিলেন । যদিও মনে করা হয় ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ বুলকে হত্যাকারী হিসেবে সন্দেহের তালিকায় ছিলো। ফিথিয়ান রিপোর্ট করেছে যে: বুলের প্রাক্তন সহকর্মীরা উদ্বিগ্ন ছিলেন, কারণ তারা জানতেন বুলের হত্যাকাণ্ডের কখনোই গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হয়নি। যদি করা হতো তাহলে এটি ইরাকের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে বেলজিয়ামের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং বেলজিয়ামের রাজনৈতিক জীবনের স্থানীয় দুর্নীতির অনেকটাই প্রকাশ্যে চলে আসতো। বুল অবাধ বিশ্বে অস্ত্রের খেলোয়াড় হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল, যাকে আইনও ছুঁতে পারতো না। তবে হুসেনকে অস্ত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে বৃটিশ ভূমিকা এই সময়ের অন্যান্য কেলেঙ্কারির তুলনায় অনেক বেশি চর্চিত ছিলো । ১৯৯০ সালের আগস্টের শুরুতে জুনিয়র টোরি মন্ত্রী অ্যালান ক্লার্ক তার ডায়েরিতে লিখেছিলেন -ধীরে ধীরে ইরাকিরা চারদিকে তাদের প্রভাব ফেলতে শুরু করে। বৃটিশ ক্যাবিনেট অনেকদিন পর্যন্ত এবিষয়ে মৌন ছিল। সেইসময়ে ইরাকের কাছে যে পরিমান সোভিয়েত ট্যাঙ্ক ছিলো যা পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি এবং চেকোস্লোভাকিয়ার কাছেও ছিল না।
বিদেশী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত এবং কূটনৈতিক জাল দ্বারা সুরক্ষিত ইরাকি সরকার দৃশ্যত অবৈধভাবে কুয়েত আক্রমণ করেছিল। এইভাবে বিশ্বজুড়ে "মুক্ত জাতি'' হিসেবে নিজেদের প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে ইরাক। যদিও সাদ্দাম হোসেনের সোভিয়েত ট্যাঙ্কগুলি মিত্রবাহিনীর বিমান বাহিনীর কাছে অসহায় ছিল। যার জেরে 'অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম' ১৯৯১ সালের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছিল। যুদ্ধে প্রায় ৩০০০ টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস হয়ে যায়। এই ধ্বংসের বেশিরভাগই বিজয় ঘোষণা করার ৭২ ঘন্টা আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি ঘটেছিলো। ইরাকি বাহিনী ইরাক এবং কুয়েতের মধ্যে হাইওয়ে ৮০তে আঘাত হানে। সেই বোমা হামলা এতটাই মারাত্মক ছিল যে রাস্তাটি এখন "মৃত্যুর মহাসড়ক" হিসাবে পরিচিত। বিজয় সত্ত্বেও পশ্চিমা সরকারগুলো উদ্বিগ্ন ছিল। তাদের সামনে বড় প্রশ্ন ছিলো -কিভাবে ইরাক অস্ত্রাগার অধিগ্রহণ করে কুয়েত আক্রমণ করেছিল? ম্যাট্রিক্স চার্চিলের একজন কর্পোরেট ডিরেক্টর পল হেন্ডারসন তদন্তকারী সাংবাদিক পল ফুট বলছেন ‘’১৯৮৭ সালে বৃটিশ কোম্পানি 'মিডল্যান্ডস মেশিন টুলস' বুলডগ নাম নিয়ে ছদ্মবেশে অস্ত্র দিয়ে ইরাকি সরকারকে সাহায্য করেছিলো। ইরাক যখন কুয়েত আক্রমণ করেছিল, সিআইএ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জানত যে ফার্মটি ইরাকি সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে।''
১৯৯০ সালে হেন্ডারসনের বিরুদ্ধে আনা অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার অভিযোগ ১৯৯২ সালে তুলে নেয়া হয় । হেন্ডারসন জানান যে " অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি তাকে ইরাক চুক্তিতে এগিয়ে যেতে বলেছিলেন। যার মধ্যে ক্লাস্টার-বোমা ম্যাগনেট কার্লোস কার্ডোয়েনের সাথে একটি লেনদেন সম্পৃক্ত ছিল।'' স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের তদন্তের মুখে পড়ে হেন্ডারসনের কোম্পানি ম্যাট্রিক্স। ১৯৯৩ সালে গোয়েন্দা কিউসি প্রেসিলি ব্যাক্সেন্ডেলের জিজ্ঞাসাবাদের ফলে হুসেনের কাছে বৃটিশ ফার্মের অস্ত্র বিক্রির অনেক তথ্য সামনে চলে আসে । কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যুক্তরাজ্য কিসের জন্য যুদ্ধে গিয়েছিল? ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে, স্কট তদন্তের এক দশক পর এবং ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের দশ মাস পর, জন ক্যামফনার নিউ স্টেটসম্যানে লিখেছিলেন যে বাগদাদের সাথে ব্রিটেনের অস্ত্র লেনদেনের ইতিহাস ছলনা, গোপনীয়তা, গুন্ডামির নজির তৈরি করেছে।''
ইরাকে বিশাল এবং ব্যয়বহুল মেশিন বিক্রি করে সমালোচনার কেন্দ্রে চলে আসে বৃটেন । ১৯৮৪ সালে ইরাকে রপ্তানির নিয়ম গোপনে পরিবর্তন করা হয়েছিল সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী থ্যাচার ব্যাক্সেন্ডেলের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়েন। ১৯৮৯ সালে সংসদকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। নিউইয়র্ক টাইমসের মতে, যখন পার্লামেন্টকে রপ্তানি আইন পরিবর্তন সম্পর্কে অবহিত করা উচিত ছিল কিনা জানতে চাওয়া হলে লেডি থ্যাচার উত্তর দিয়েছিলেন, ' বিবেচনা না করে আমি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই না।''
হুসেনের অস্ত্রাগারকে ঢেলে সাজানোর জন্য সব দায় এড়িয়ে যায় যুক্তরাজ্য। শুধু তাই নয়, ইরাকি জাতিকে উচ্ছেদ করার জন্য তাদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। উপসাগরীয় যুদ্ধ-পরবর্তী নিষেধাজ্ঞাগুলি ইরাকের জনসংখ্যার উপর হুসেনের নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করেছিল, দেশটিকে সরকারী সাহায্যের উপর নির্ভরশীল করে তোলে। ইরাকি অবকাঠামো, এর বৈদ্যুতিক গ্রিড সহ একাধিক নির্মাণ উপসাগরীয় যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো । খাদ্যদ্রব্যের দাম মানুষের ধরাছোয়ার বাইরে চলে যেতে থাকে। সেই সুযোগে ইরাকের প্রতি আমেরিকার আগ্রহ বাড়তে থাকে। পিছিয়ে ছিল না ইসরায়েল এবং সৌদি আরব। ২০০১ এর ১১ সেপ্টেম্বরের পর হুসেনের শাসন নতুন শত্রুর জন্ম দেয়। আফগানিস্তানের গুহায় বসবাসকারী আল-কায়েদা যোদ্ধাদের চেয়ে মুক্ত বিশ্বের জন্য অনেক বেশি হুমকির উদ্রেককারী একজন কঠিন প্রতিপক্ষ। সাদ্দাম হোসেন গ্লোবাল টেররিজম ইনকর্পোরেটেডের নির্দেশনার দায়িত্বে ছিলেন না ঠিকই , কিন্তু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিশ্বযুদ্ধের সূচনাকারী হয়ে উঠেছিলেন। জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসনের কর্মকর্তা ডেভিড ফ্রম এবং রিচার্ড পার্লে 'অ্যান এন্ড টু ইভিল'-এ বড়াই করে বলেছেন -''আমরা আরব বিশ্বের সবচেয়ে নিষ্ঠুর এবং সবচেয়ে অত্যাচারী শাসককে নির্মূল করেছি। '' উত্তর ইরাকে ইসলামিক স্টেট ক্ষমতায় আসার এক দশক আগে প্রকাশিত একটি বই 'হাউ টু উইন দ্য ওয়ার অন টেরর (২০০৪) এ উল্লেখ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে ইরাকে একটি মানবিক, নাগরিক সমাজ গড়ার পথ প্রশস্ত করেছে। কিভাবে একটি জাতিকে উদ্ধার করে সংস্কারের দিকে নিয়ে গেছে। যদিও আমেরিকার শত্রুরা আর ইরাককে নিজেদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে না, কারণ ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে অনেকটাই গুরুত্ব হারিয়েছে এই দেশ। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক এবং সামরিক কৌশল অপরিবর্তিত রয়েছে। কিন্তু এখানে একটি কথা ভুলে গেলে চলবে না -পশ্চিমের কথিত শত্রুরা, মস্কো হোক বা বেইজিং সাদ্দাম হুসেনের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
সূত্র : নিউ স্টেটসম্যান
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন