রাজধানীর শাহবাগে যে প্রাইভেটকারের নিচে চাপা পড়ে রুবিনা আক্তার (৪৫) নিহত হয়েছেন সেটি চালাচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাবেক শিক্ষক।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম আজাহার জাফর শাহ। তিনি ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক। একটি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরিচ্যুত করে।
দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে জাফর শাহ ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। তিনি শাহবাগ থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত এক কিলোমিটার প্রাইভেটকারের নিচে ছেঁচড়ে ওই নারীকে নিয়ে যান।
সেখানে জনতা গাড়িটি আটকে চালককে গণপিটুনি দেন এবং আহত নারীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ঢাবির ওই সাবেক শিক্ষকও একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ওই নারী তেজগাঁও এলাকায় বসবাস করতেন। স্বামী মাহবুবুর রহমান খান ডলার মারা গেছেন আগেই। অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছেলে রয়েছে তাদের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভুক্তভোগী নারী দেবর নূরুল আমিনের (৪০) বাইকে করে যাচ্ছিলেন। বাইকটি শাহবাগ পৌঁছলে প্রাইভেটকার চালক পেছন থেকে ধাক্কা দেন। ভুক্তভোগী ওই নারী প্রাইভেটকারের নিচে চাপা পড়েন এবং তাকে ঝুলিয়ে নিয়ে চালক নীলক্ষেতের দিকে যেতে থাকেন।
আশপাশের লোকজন পেছন থেকে বারবার গাড়ি থামাতে বললেও চালক না থামিয়ে চলতে থাকেন। তখন জনতা পেছন থেকে ধাওয়া করেন। এক সময় নীলক্ষেত মোড়ে লোকজন গাড়ির পথরোধ করেন। পরে গাড়ির নিচ থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় জনতা গাড়ির চালককে গণপিটুনি দিয়ে মারাত্মক আহত করেন এবং গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে পুলিশ এসে জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং চালককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহাবাগ থানার ওসি নুর মোহাম্মদ বলেন, আহত নারী মারা গেছেন। চালক ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন। গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন