ভার্চ্যুয়াল মাধ্যম ও বাস্তব জগতে মেয়েরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তবে যাঁরা করছেন, তাঁদের বেশির ভাগই বন্ধু, স্বজনসহ পরিচিত মানুষ। পুলিশের তদন্তে এমনটিই উঠে এসেছে।
এক.
স্কুলছাত্রীটির বাবা প্রবাসী। সে মা ও চাচাদের সঙ্গে থাকে। এ বছরের জানুয়ারিতে তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলে। সেখানে মেয়েটির মুখের ছবি অন্য কারও আপত্তিকর ছবির সঙ্গে সম্পাদনা করে একের পর এক পোস্ট করা হয়। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে আপত্তিকর ছবিগুলো ছাত্রীর আত্মীয়স্বজনের ইনবক্সে পাঠিয়ে ভাইরাল করার হুমকি দেওয়া হয়। এতে সে ও তার পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। হয়রানি বাড়তে থাকলে তার খালা পুলিশে অভিযোগ করেন। প্রযুক্তিগত অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, তার চাচাতো ভাই ভুয়া আইডি খুলে এই কাজ করছিলেন। অভিযুক্তের পরিচয় জানার পর পরিবারটি আর এগোয়নি। এ কারণে পুলিশও জানতে পারেনি, কেন চাচাতো ভাই এই কাজ করেছিলেন।
দুই.
মেয়েটি এখন কলেজছাত্রী। স্কুলের ছাত্রী থাকাকালে সমবয়সী এক ছেলের সঙ্গে প্রেম হয়। আবার বছরখানেকের মধ্যে তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। বেশ কিছুদিন পর ওই ছাত্রীর ছবি দিয়ে খোলা একটি ফেসবুক আইডি থেকে তাঁকে বন্ধু হওয়ার অনুরোধ পাঠানো হয়। তিনি ওই আইডি ব্লক করে দেন। কিছুদিন পর দেখেন, তিনিসহ সাবেক প্রেমিকের একটি ছবি দিয়ে ফেসবুক আইডি খোলা হয়েছে। সেখান থেকে তাঁকে বার্তা পাঠানো হয়েছে। ওই আইডি ব্লক করলে তাঁর ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হয়। ভয়ে তিনি ঘটনাটি এক ছেলেবন্ধুকে জানান।
ওই বন্ধু তাঁকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন। তবে জানাজানির ভয়ে তিনি রাজি হননি। সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে যুগল ছবি দিয়ে আরেকটি আইডি খুলে ক্রমাগত তাঁকে হুমকি দেওয়া হলে তিনি ও ছেলেবন্ধু নিশ্চিত হন, সাবেক প্রেমিক এই কাজ করছেন। এরপর তিনি ওই বন্ধুকে নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পুলিশ অনুসন্ধান করে সাবেক প্রেমিকের কোনো সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় না। পরে প্রযুক্তিগত অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, তিনটি আইডিই তাঁর ছেলেবন্ধুটি ব্যবহার করতেন। মেয়েটি একবার বন্ধুর প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তাই ওই বন্ধু এই কাজ করছেন। উদ্দেশ্য, ছাত্রীটি বিপদে পড়ে বন্ধুর কাছাকাছি থাকবেন।
অনলাইনে মেয়েদের হয়রানি করা খুব সহজ। কারণ, লোকলজ্জার ভয়ে অনেকে হয়রানির বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে চায় না। পরিচিত অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রতিশোধ বা বিকৃত চিন্তাভাবনা থেকে হয়রানি করাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে।
সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তর পরিচালিত পুলিশ সাইবার সাপোর্ট সেন্টার ফর উইমেন (পিসিএসডব্লিউ) এ দুটি অভিযোগ তদন্ত করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে। সাইবার জগতে হয়রানির শিকার নারীদের অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে এমন পরিচিত বা স্বজনদের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পিসিএসডব্লিউ। কেউ বিকৃত মানসিকতা থেকে, আবার কেউ প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে প্রতিশোধ নিতে বা বিপদে ফেলে উপকার করার ভান করে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা থেকে এ ধরনের হয়রানি করেছেন। পরিবারের সঙ্গে বিরোধের জেরেও অনেক ক্ষেত্রে মেয়েরা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর পিএসসিডব্লিউ যাত্রা শুরু করে। তখন থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় দুই বছরে ২১ হাজার ৯৪১ নারী এই সংস্থার কাছে হয়রানির অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে এ বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৭ হাজার ৮৮৯ নারী অভিযোগ করেন। অর্থাৎ মাসে গড়ে ৭৮৯টি অভিযোগ এসেছে। তবে এর মধ্যে কত অভিযুক্ত আপনজন হিসেবে শনাক্ত হয়েছে, সে উপাত্ত আলাদা পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের ধরন
গত দুই বছরে পিসিএসডব্লিউতে আসা অভিযোগ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ভুয়া আইডি নিয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে। ভুক্তভোগীর ছবি বা পরিচয় ব্যবহার করে ভুয়া আইডি খুলে তাঁর ছবি, ভিডিও বা তথ্য প্রচার করার অভিযোগ এসেছে ৪৩ শতাংশ। এ ছাড়া কারও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আইডি হ্যাক করা, পাসওয়ার্ড চুরি করে অ্যাকাউন্টের দখল নেওয়া (আইডি হ্যাক) ১৩ শতাংশ, পূর্বপরিচয় বা সম্পর্কের জের ধরে বা অন্য কোনোভাবে প্রাপ্ত ছবি, ভিডিও বা তথ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কোনো সুবিধা আদায় বা টাকা দাবি করা ১৭ শতাংশ, মুঠোফোন ব্যবহার করে কল বা খুদে বার্তা পাঠিয়ে হয়রানি ১০ শতাংশ, বিভিন্ন মাধ্যমে অশ্লীল শব্দ, লেখা, ছবি বা ভিডিও পাঠিয়ে হয়রানির (আপত্তিকর কনটেন্ট ছড়ানো) অভিযোগ এসেছে ৯ শতাংশ। এর বাইরে অন্যান্য অভিযোগ রয়েছে আরও ৮ শতাংশ।
পিসিএসডব্লিউ সূত্র জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই কম বয়সী, প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন। ভুয়া নামে সিম কিনে, ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে, ই–মেইল দিয়ে এমনভাবে হয়রানি করে যে প্রযুক্তিগত অনুসন্ধান ছাড়া তাদের ধরা যায় না।
পুলিশ সাইবার সাপোর্ট সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খালেদা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, অনলাইনে মেয়েদের হয়রানি করা খুব সহজ। কারণ, লোকলজ্জার ভয়ে অনেকে হয়রানির বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে চায় না। পরিচিত অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রতিশোধ বা বিকৃত চিন্তাভাবনা থেকে হয়রানি করাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে।
খালেদা বেগম বলেন, অভিযুক্ত শনাক্ত হওয়ার পর বেশির ভাগ ভুক্তভোগী আইনের আশ্রয় নেন না। বিশেষ করে অভিযুক্ত ব্যক্তি পরিচিত ব্যক্তি বলে শনাক্ত হলে ভুক্তভোগীরা আইনি ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী হন না। কেন ভুক্তভোগীরা ব্যবস্থা নিতে চান না, এমন প্রশ্নে তাঁর উত্তর, সামাজিক নানা কারণ বিবেচনা করে হয়তো তাঁরা পিছিয়ে যান।
বাবার সঙ্গে বিরোধে মেয়েকে হয়রানি
ভুয়া একটি ফেসবুক আইডি থেকে এক তরুণীর কাছে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠানো হয়। তরুণী দেখেন, ওই আইডিতে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে বাজে ক্যাপশন দিয়ে অন্য এক নারীর আপত্তিকর ভিডিও ওই তরুণীর দাবি করে আত্মীয়স্বজন ও পরিচিত ব্যক্তিদের মেসেঞ্জারে পাঠানো হচ্ছে। কিছুদিন পর অশ্লীল ছবির সঙ্গে মেয়েটির মুখের ছবি সম্পাদনা করে দুটি ফেসবুক আইডি খোলা হয়। ওই আইডিগুলো থেকে মেয়েটির নামে অশ্লীল বার্তা পাঠানো হতে থাকে আত্মীয়স্বজনের ইনবক্সে। এসব নিয়ে ছয় মাস মানসিক যন্ত্রণায় ভোগার পর ওই তরুণী পিসিএসডব্লিউতে যোগাযোগ করেন। তদন্তে বেরিয়ে আসে, তাঁর বাবার সঙ্গে জমি ও বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ থাকায় প্রতিবেশী এক ব্যক্তি এ কাণ্ড ঘটাচ্ছিলেন।
আরেকটি অভিযোগের তদন্তে বেরিয়ে আসে, প্রতিবেশীর এক দূরসম্পর্কের আত্মীয় কলেজছাত্রীকে ফেসবুকে হয়রানি করছিলেন। ২০২১ সালের মে মাসে তাঁর মুঠোফোন হারিয়ে যায়। এক মাস পর তাঁর কাছে একটি ফোন নম্বর থেকে খুদে বার্তা আসে, তাঁর ছবি ও তথ্য ওই ব্যক্তির কাছে আছে। এরপর গত জুনে বিভিন্ন ফোন নম্বর থেকে তাঁর কাছে কল আসতে থাকে। কারণ, ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ ও মেসেঞ্জারের বিভিন্ন গ্রুপ তাঁর ছবি ও ফোন নম্বর দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। হারিয়ে যাওয়া মুঠোফোনে ছবিগুলো ছিল।
নিরাপত্তা প্রহরীর অশ্লীল বার্তা
ঘটনাটি গত সেপ্টেম্বরের। এক স্কুলছাত্রীর মুঠোফোন নম্বরে একের পর এক অশ্লীল বার্তা আসতে থাকে। কল করে বার্তা প্রেরক নিজেকে তার প্রেমিক বলে দাবি করেন। সে তার মা–বাবাকে নিশ্চিত করেছিল, কোনো ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক নেই। মেয়েটির বাবা প্রথম আলোকে বলেন, দুশ্চিন্তায় তিনি কয়েক দিন মেয়েকে স্কুলে পাঠাননি, পরে তিনি নিজে তাকে স্কুলে নিয়ে যেতেন। বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরীর কথাবার্তায় তিনি আরও ভড়কে গিয়েছিলেন। প্রহরী বলতেন, তিনি ওই ছেলেকে দেখেছেন, ‘ষন্ডা মার্কা’, ‘অস্ত্র নিয়ে ঘোরে’। পরে তিনি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ করেন। একদিন পরই শনাক্ত হয়, ভিন্ন ফোন নম্বর ব্যবহার করে ওই প্রহরীই মেয়েটিকে হয়রানিমূলক বার্তা পাঠাতেন। পুলিশ ওই প্রহরীকে গ্রেপ্তার করে।
শিক্ষকের হাতে যৌন হয়রানি
চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রীর অভিভাবক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। তিনি বলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তিনি একটি আবাসিক ক্যাডেট কোচিং সেন্টারে মেয়েকে ভর্তি করেন। কয়েক দিন আগে মেয়ে বাসায় এসে কান্নাকাটি করে বলে, সে আর কোচিং সেন্টারে যাবে না। পরে ছাত্রীর মা আরও কয়েক অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, কোচিং সেন্টারের প্রধান শিক্ষক তাঁর মেয়েসহ আরও কয়েক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করতেন। মেয়েটির বাবাসহ কয়েক অভিভাবক ওই কোচিং সেন্টারে অবস্থান করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে আইনি সহায়তা চান। পরে রমনা থানা থেকে পুলিশ ওই শিক্ষককে আটক করে।
গত অক্টোবরে দিনাজপুর থেকে এক ব্যক্তি কল করে অভিযোগ করেন, তাঁর শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতন করেছে তারই ভাইয়ের ছেলে অর্থাৎ তার শিশুর চাচাতো ভাই। স্থানীয় থানা প্রাথমিক তদন্তে তথ্যের সত্যতা পেয়ে চাচাতো ভাইকে গ্রেপ্তার করে।
এ বছরের ৩১ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ সদরে পথে উত্ত্যক্তের ঘটনায় এক কিশোরী গৃহকর্মী কল করলে এক বখাটেকে আটক করে পুলিশ।
সরাসরি উত্ত্যক্ত ও যৌন হয়রানির অভিযোগের এ ধরনের কলের আলাদা হিসাব রাখে ৯৯৯। উত্ত্যক্ত ও যৌন হয়রানির অভিযোগে ৯৯৯ নম্বরে গত চার বছরে আসা কলের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দিন দিন এমন উত্ত্যক্ত ও হয়রানির ঘটনা বাড়ছে। এমন অভিযোগে ২০১৮ সালে ৬৯২টি, ২০১৯ সালে ৭৩৭টি, ২০২০ সালে ৮৯৫টি এবং ২০২১ সালে ১ হাজার ৭১টি কল এসেছিল। ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ৯ মাসে কল এসেছে ১ হাজার ৪৪৪টি, অর্থাৎ মাসে গড়ে ১৪১টি অভিযোগ।
৯৯৯–এর ফোকাল পারসন (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির অভিযোগের ক্ষেত্রে অভিভাবকেরাই বেশি কল করেন। অনেক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান সহায়তা চেয়ে কল করে জানান, স্কুলে আসার পথে তাঁর ছাত্রীদের বখাটেরা উৎপাত করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী নিজেই কল করেন।
কল পাওয়ার পর কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়, জানতে চাইলে আনোয়ার বলেন, ৯৯৯ থেকে কলটির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়। অপরাধের ধরন অনুসারে থানা–পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেয়।
লক্ষ্যবস্তু নারীরাই
বাস্তব ও ভার্চ্যুয়াল—দুই জগতেই নারীরা নির্যাতন–হয়রানির সহজ লক্ষ্যবস্তু বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দুটি ক্ষেত্রেই পরিচিত ব্যক্তি, বন্ধু, স্বজনদের মাধ্যমেই নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা বেশি ঘটছে।
এখন ইন্টারনেটের প্রসার বাড়ছে। নারীর ব্যক্তিগত তথ্য আপনজনের জানা থাকে। এই আপনজনের মধ্যে যাঁরা নারীকে হেনস্তা করার কথা ভাবেন, তাঁরা বেশি মানুষের সামনে ওই নারীকে হেয় করতে অনলাইনকে সহজ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন।
খন্দকার ফারজানার পরামর্শ, বাস্তব জগতে যেমন মেয়েরা চলাফেরায় সতর্ক, তেমনি ভার্চ্যুয়াল জগতেও নারীকে সমানভাবে সতর্ক হতে হবে। নারীরা যেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত সব তথ্য ও ছবি প্রকাশ না করেন, যেকোনো আইডি থেকে আসা বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ না করেন। এরপরও কখনো হয়রানির শিকার হলে কোনো দ্বিধা না করে তাদের আইনের আশ্রয় নেওয়া উচিত।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন