সবকিছুর দায় যেন ঠেকেছে সাধারণ মানুষের। দিনশেষে বলির পাঁঠা ভোক্তা। গ্যাস-বিদ্যুৎ কিংবা জ্বালানি তেল-যে পণ্যের দামই বাড়ুক না কেন কেউ নিতে চান না দায়। সবকিছুর প্রভাব গিয়ে চূড়ান্তভাবে পড়ছে সাধারণ মানুষের কাঁধেই। এবারও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর গণপরিবহন থেকে দ্রব্যমূল্য- সব কিছুর পেছনেই বাড়তি ব্যয় বইতে হচ্ছে ভোক্তাদের।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) ছুটির দিন রাতে হঠাৎই দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন দাম বাড়ে জ্বালানি তেলের। আর তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে নানামুখী ক্ষেত্রে, যার সব কিছুই বর্তাচ্ছে সাধারণ মানুষের কাঁধে।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিআটিএর মাধ্যমে ভাড়া বাড়িয়ে নেয় গণপরিবহনের মালিকরা। ৯ মাসের মধ্যে ভাড়া বাড়ার হার ১৭ থেকে ২২ শতাংশ। অন্যদিকে বাজারেও পড়তে শুরু করেছে বিরূপ প্রভাব।
রোববার (৭ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ সবজিরই পাইকারি দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। খুচরা বাজারে যা ঠেকছে ১০ থেকে ২০ টাকায়।
ক্রেতারা বলছেন, দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় জীবিকা নির্বাহ খুব অসহনীয় হয়ে উঠেছে। বাসা থেকে হিসাব করে টাকা এনে বাজারে এলে তার আর ঠিক থাকে না।
সাধারণ মানুষ বলছেন, নানা বাহানায় একদিকে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে প্রতিনিয়ত। অন্যদিকে, গ্যাস-বিদ্যুৎ-জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে তার প্রভাব পড়ছে গণপরিবহন, দ্রব্যমূল্যসহ বহুমুখী ক্ষেত্রে। কিন্তু বাড়ছে না আয়ের উৎস। সব মিলে তাই চিড়েচ্যাপ্টা অবস্থা নাগরিকদের।
তারা বলছেন, জ্বালানির দাম বাড়ার প্রভাব বাজারের সব পণ্যের ওপরেই পড়ে। এতে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনো মিল থাকছে না। দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় খুব চাপ হয়ে গেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কেনাকাটা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
এর আগে গত জুনে গ্যাসের দাম বেড়েছিল ২৩ শতাংশ। আবার বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়ার ঘোষণাও আসতে পারে যেকোনো সময়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন