গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাঈদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যত দুঃশাসন হচ্ছে, আইয়ুব খানের আমলেও এত দুঃশাসন হয়নি। দেশ আজ গভীর সংকটে নিমজ্জিত। নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সর্বক্ষেত্রে, স্বৈরতান্ত্রিক কালো থাবায় সবকিছু থমকে গেছে। সর্বস্তরে চলছে দুঃশাসন।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণফোরামের বর্ধিত সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘যদিও সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলছে। কিন্তু চেতনা বাস্তবায়নে সরকার অনেক দূর সরে গেছে। এ সরকার জনগেরণর সরকার নয়। এ সরকার অবৈধ সরকার। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছে।’
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গণফোরামের বর্ধিত সভা জাতীয় প্রেস ক্লাবের হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাঈদ।
বর্ধিত সভায় জানানো হয়, আগামী ২৮ ও ২৯ মে দলটির জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি ও ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল করতে মোস্তফা মহাসিন মন্টুকে আহ্বায়ক এবং আ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে ২০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন এবং অধ্যাপক ড. আবু সাঈদকে আহবায়ক আ্যাডভোকেট এ এইচ এম খালেকুজ্জামানকে যুগ্ম আহবায়ক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।
ড. কামালকে গণফোরাম থেকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাবের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গণফোরামের আরেক নেতা মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, ‘এটি বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত না, বিভিন্ন নেতারা প্রস্তাব দিয়েছেন। আগামী কাউন্সিলে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
মোস্তফা মহসিন মন্টু আরও বলেন, ‘আমরা নতুন নির্বাচন দেওয়ার দাবি করছি। আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু করেছে। নতুন নির্বাচন না দিলে স্বৈরাচার এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’
সারাবাংলা
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন